প্রাথমিকের একটি মামলা ছেড়ে দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মামলাটি হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি কাছে পাঠালেন তিনি। তাঁর পর্যবেক্ষণ, এর সঙ্গে বৃহত্তর স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, প্রাথমিকের ওই মামলার সঙ্গে বৃহত্তর স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে। তাই মামলাটি জনস্বার্থ মামলা হিসাবে শুনানি করা উচিত।
মামলাকারী বিদেশ গাজীর বক্তব্য, পঞ্চম শ্রেণিকে পুরোপুরি ভাবে প্রাথমিকে অন্তর্ভুক্ত করা হোক। রাজ্যের অনেক হাই স্কুলে পঞ্চম শ্রেণির পঠনপাঠন চলে। যদিও প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়া হিসাবে ধরা হয়। মামলকারীর আইনজীবী ওমর ফারুক গাজী জানিয়েছেন, ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন (এনসিটিই) ২০০৯ সালে একটি নির্দেশিকা দিয়েছিল। তাতে বলা হয়েছিল, প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের জন্য একটিই পরীক্ষা হবে। পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক হিসাবে ধরা হবে। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের জন্য হবে অন্য একটি পরীক্ষা। সব রাজ্য তা মেনে চলে। তবে পশ্চিমবঙ্গে বেশির ভাগ স্কুলে পঞ্চম শ্রেণি উচ্চ প্রাথমিকের মধ্যেই পড়ে। যদিও সরকার প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির নিয়োগের জন্য একটিই টেট নেয়। তা হলে কেন পঞ্চম শ্রেণিকে প্রাথমিকের অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন মামলাকারী।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, এই মামলায় রাজ্য সরকারের নীতি জড়িয়ে রয়েছে। এটি জনস্বার্থ মামলা হিসাবে বিবেচনা করা উচিত। তাই মামলাটি প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে শুনানির জন্য উপযুক্ত।