কীভাবে নিয়োগ? স্কুলের শিক্ষক পদে এবার ‘ভুতুড়ে’ চাকরিই সন্ধান দিল খোদ SSC-ই! ৫৮ জনের চাকরি ভবিষ্যৎ নিয়ে ঘোর সংশয়।
ঘটনাটি ঠিক কী? রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে একাধিক মামলা চলছে হাইকোর্টে। বিচারপতি বিচারপতি দেবাংশু বসাকের এজলাসে হলফনামা জমা দিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন বা SSC। কবে? ৯ জানুয়ারি।
সূত্রের খবর, সেই হলফনামায় উল্লেখ, নবম-দশম শ্রেণিতে ৪০ আর একাদশ-দ্বাদশে শ্রেণিতে ১৮ জনকে পার্সোনালিটি টেস্ট ও ইন্টারভিউ ছাড়াই নিয়োগ করা হয়েছে। ওই শিক্ষকদের নিয়োগ সংক্রান্ত কোনও তথ্য নেই SSC-র কাছে! ফলে তাঁদের চাকরি বাতিল করা সম্ভব নয়।
কী প্রতিক্রিয়া রাজনৈতিক মহলে? রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘সংখ্যাটা ৫৮ হবে না, সংখ্যা কয়েকহাজার হবে। পার্সোনালিটি টেস্টর প্রয়োজন কী! এগিয়ে বাংলা! তৃণমূল সরকার যা পারে, ভারতবর্ষ কেন, পৃথিবীর কোনও সরকার তা করে দেখাতে পারেনি। তাই বিনা পার্সোনালিটি টেস্টেই চাকরিতে নিয়ে নিয়েছে। চলে যান স্কুল সার্ভিস কমিশন, উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন পুরসভায়… যাঁরা চাকরি পেয়েছে, তাঁদের কোনও নথি পাওয়া যাচ্ছে না। একজন অফিসার বলছে, আগের অফিসার ওগুলিকে হাতেই তুলে দিয়েছিলেন। হাত থেকে কোথায় গিয়েছে, কেউ জানে না। এখন এই পরিস্থিতি চলছে’।
শমীকের প্রশ্ন, ‘আর কতদিন আর চোর-পুলিস খেলা চলবে? কতদিন ৫৮, ৬২২, ৯২৭, এইসব সংখ্যার মধ্যে আবদ্ধ থাকব? এবার তো বন্ধ হোক, তদন্ত শেষ হোক! প্রকৃত অপরাধীরা ধরা পড়ুক, অনুমোদনদাতারা সামনে আসুক’।
এদিকে বিরোধীদের দিকেই পাল্টা আঙুল তুলেছেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। তাঁর দাবি, ‘আমাদের সরকার সহৃদয়তার সঙ্গে সমস্যা সমাধানে সদা সচেষ্ট। কিন্তু আমার দেখছি বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেস যাঁরা আন্দোলন করছে, তাঁদেরকে হাওয়া দিচ্ছে, প্ররোচিত করছে। আইনের বেড়াজাল তৈরি সমস্যা সমাধানের পথে অন্তরায় তৈরি করে ফেলছে’। সঙ্গে বার্তা, ‘আমাদের সরকার সমস্যার সমধান করবে, একটু সময় দিয়ে ভরসা রাখতে হবে।