কলকাতা-সহ সারা রাজ্যে হাড়কাঁপানো ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। শীতে জবুথবু দশা জেলায় জেলায়। রবিবার দক্ষিণবঙ্গে শৈত্যপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে দু’টি জেলায়— পুরুলিয়া এবং পশ্চিম বর্ধমান।
আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, রবিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তা স্বাভাবিকের চেয়ে এক ডিগ্রি কম। শনিবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস। রবিবারও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে থাকতে পারে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রার খুব একটা হেরফের হবে না।
তবে আগামী সপ্তাহ থেকে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে বাংলায়। ভিজতে পারে কলকাতাও। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, ১৬ জানুয়ারি অর্থাৎ, মঙ্গলবার হালকা বৃষ্টিপাত হতে পারে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরে জেলায়। ১৭ জানুয়ারি হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুর, নদিয়া, হাওড়া, হুগলি এবং কলকাতায়। এ ছাড়াও দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতেও হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ১৮ জানুয়ারি, অর্থাৎ, বৃহস্পতিবার, হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং জেলায় মঙ্গলবার বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বুধ এবং বৃহস্পতিবার হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং কালিম্পং জেলায়। পশ্চিম হিমালয় থেকে ঝঞ্ঝা এবং বঙ্গোপসাগর থেকে আর্দ্রতা ঢুকে বৃষ্টির অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি করছে বলে জানিয়েছেন আবহবিদেরা।
আলিপুরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রবিবার রাজ্যে সবচেয়ে বেশি ঠান্ডা পড়েছে দু’টি জেলায়। ঠান্ডায় একে অপরকে সমানে সমানে টক্কর দিচ্ছে উত্তরের দার্জিলিং এবং পশ্চিমের পুরুলিয়া। দুই জেলাতেই রবিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পুরুলিয়ায় তা স্বাভাবিকের চেয়ে পাঁচ ডিগ্রি কম। এ ছাড়া, শিলিগুড়িতে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বোলপুরে ৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাঁকুড়ায় ৮.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, মালদহে ৯.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, কৃষ্ণনগরে ৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শ্রীনিকেতনে ৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, দিঘায় ১১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বিষ্ণুপুরে ৮.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমেছিল তাপমাত্রার পারদ।