সম্প্রতি পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর সফরে গিয়েছিলেন সে দেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত। এ বার তা নিয়ে নিজেদের ‘তীব্র আপত্তি’র কথা জানাল ভারত। শনিবার ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, দেশের সার্বভৌমত্ব এবং ভৌগোলিক অখণ্ডতায় ‘হস্তক্ষেপ’ করাকে ‘আপত্তিজনক’ বলে মনে করা হচ্ছে। বিবৃতিতে এ-ও বলা হয়েছে যে, ভারতের বিদেশ সচিব বিনয় কাটরা এই বিষয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন ভারতে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতের কাছে।
বিদেশ মন্ত্রকের তরফে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ সর্বদা ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ থাকবে। ইসলামাবাদের ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত এবং দূতাবাসের আধিকারিকদের পাক অধিকৃত কাশ্মীরে যাওয়াকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে ভারত এবং এই বিষয়ে তীব্র আপত্তি জানাচ্ছে। ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং ভৌগোলিক অখণ্ডতায় এই ধরনের হস্তক্ষেপ সমর্থনযোগ্য নয়।”
গত ১০ ডিসেম্বর পাকিস্তান অধিকৃত মিরপুর সফরে গিয়েছিলেন পাকিস্তানের ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত জেন ম্যারিয়ট। সেখানে গিয়ে তিনি বেশ কয়েক জন ব্যবসায়ী এবং ছোটদের একটি ফুটবল দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরে নিজের এক্স হ্যান্ডলে ম্যারিয়ট লেখেন, “পাক বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিকদের ৭০ শতাংশই মিরপুরের বাসিন্দা।” আতিথেয়তার জন্য মিরপুরের বাসিন্দাদের ধন্যবাদও জানান তিনি।
পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে নিজেদের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে মনে করে ভারত। কিছু দিন আগেই লোকসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, “পাক অধিকৃত কাশ্মীর আসলে আমাদের।” একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জন্য জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায় ২৪টি আসন আমরা সংরক্ষিত রেখেছি। কারণ, ওটা আমাদের জায়গা।’’ গত অক্টোবরেই পাকিস্তানে নিযুক্ত আমেরিকার রাষ্ট্রদূত ডোনাল্ড ব্লোম গিলগিট-বালটিস্তানে সফরে যাওয়ার পরে নিজেদের আপত্তির কথা জানিয়েছিল ভারত। বিশ্বের কাছে ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং ভৌগোলিক অখণ্ডতাকে সম্মান জানানোর আর্জি জানিয়েছিল নয়াদিল্লি। ২০২২ সালে পাকিস্তানে নিযুক্ত আমেরিকার রাষ্ট্রদূত পাক অধিকৃত কাশ্মীরে গেলে তখনও নিজেদের আপত্তির কথা জানায় ভারত।