আট বছর পর ফের শহরে ক্লাইভ লয়েড (Clive Lloyd)। ২০১৬ সালে টি২০ বিশ্বকাপের সময় কলকাতায় এসেছিলেন শেষবার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের জোড়া বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক গত বুধবার সকালেই তিলোত্তমায় পা রেখেছেন। কিংবদন্তি ক্য়ারিবিয়ান ক্রিকেটার শুক্রবার অর্থাৎ আজ গিয়েছিলেন বর্ধমানের সাতগাছিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্ল্যাটিনাম জুবিলি ট্রফির ফাইনালে।
সাতগাছিয়া বড় মাঠে আইদা মিলনী একাদশ ও চন্দননগর বয়েজ স্পোর্টিং ক্লাব মুখোমুখি হয়েছিল মহাযুদ্ধে। এদিন বিজয়ী (চন্দননগর) ও রানার্স টিমকে (আইদা মিলনি) ট্রফিও তুলে দেন লয়েড। স্কুলের পড়ুয়াদের জন্য় লয়েডের একটাই বার্তা ছিল। তিনি সাফ বলে দেন যে, জীবনে লক্ষ্যপূরণের জন্য, কখনও কেউ যেন শর্টকাট না নেয়। লয়েড এদিন তাঁর সই করা ব্যাট তুলে দেন স্কুল কর্তৃপক্ষকে। পরে এই ব্যাট নিলাম করেই দুঃস্থ ছাত্রদের সাহায্য করা হবে। দু’বারের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ককে দেখার জন্য় এদিন কাতারে কাতারে মানুষ ভিড় জমিয়ে ছিলেন মাঠে। এই মাঠ অতীতে রবি শাস্ত্রী ও ঝুলন গোস্বামীর মতো ক্রিকেটারদেরও দেখেছে। বেলুনে সাজানো হুডখোলা গাড়িতে করেই লয়েড পুরো মাঠ প্রদক্ষিণ করেছেন এদিন।
স্কুলের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি, লয়েড স্থানীয় এক বাড়িতেই সেরেছেন দুপুরের খাওয়াদাওয়া। তাঁর আপ্যায়নে ছিল একেবারে রাজভোজ। দু’রকমের পাস্তা, ফ্রুটস, ফিশ ফিঙ্গার ও কাবাবের সঙ্গেই ছিল বিরিয়ানি ও চিকেন। মিষ্টির মধ্য়ে ছিল মাখা সন্দেশ, নলেন গুড়ের রসগোল্লা, জিলিপি ও রাবড়ি। তবে গুপ্তিপাড়ার নলেন গুড়ের রসগোল্লার হাঁড়ি দেখেই চমতে যান লয়েড। তাঁর সটান প্রশ্ন, ‘এটা কি আলু’? লয়েডের ভুল ভাঙিয়ে দিয়ে বাংলায় রসগোল্লার মাহাত্ম্য বুঝিয়ে বলা হয় তাঁকে। আগামিকাল অর্থাৎ শনিবার ক্রিকেটের নন্দন কাননে ইডেন গার্ডেন্সে যাবেন লয়েড। সিএবি বিকেলে লয়েডকে সংবর্ধনা দেবে।