প্রবল ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচতে ঘরে উনুন জ্বালিয়ে ঘুমিয়েছিল পুরো পরিবার। ঠান্ডাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে জ্বলন্ত অঙ্গার ওম দিচ্ছিল পরিবারের সাত জনকেই। আরামের সেই ঘুম আর ভাঙল না। উত্তরপ্রদেশের অমরোহায় একই পরিবারের পাঁচ জনের মৃত্যুর হল দম বন্ধ হয়ে। বাকি দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রবল ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচতে একটি পরিবার গত সোমবার রাতের খাওয়ার খেয়ে একটি ঘরেই ঘুমোয়। সেই ঘরকে গরম করতে রাখা ছিল একটি জ্বলন্ত উনুন। তাতে কয়লা জ্বলছিল গনগনে আঁচে। সকলেই আরামে ঘুমিয়েছিলেন। কিন্তু সেই ঘুম আর ভাঙেনি। মঙ্গলবার দুপুরেও যখন বাড়ির কাউকে বাইরে দেখা যায়নি, তখন প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। তাঁরা ডাকাডাকি শুরু করেন। মোবাইলে ফোন করেন। কিন্তু কারও কোনও সাড়া মেলে না। এর পর প্রতিবেশীরাই ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন। আর ঘরে ঢুকতেই তাঁদের চক্ষু চড়কগাছ। তাঁরা দেখেন, বিছানায় মেঝেতে শেষ অচৈতন্য অবস্থায় প্রায় সকলে। দু’জন তখনও বেঁচে। সকলকেই তড়িঘড়ি নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতাল পাঁচ জনকে মৃত বলে ঘোষণা করে। দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতেরা হল ১৯ বছরের সোনম, ১৭ বছরের ওয়ারিস, ১৬ বছরের মেহেক, ১৫ বছরের জ়াইদ এবং ১২ বছরের মাহির। মনে করা হচ্ছে, উনুনের ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে পাঁচ জনের।
উত্তর ভারতে প্রবল ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচতে বদ্ধ ঘরে জ্বলন্ত অঙ্গার রেখে দেওয়ার জেরে দম আটকে মৃত্যুর ঘটনা নতুন নয়। গত সোমবার লখিমপুর খেরিতে একই ভাবে ৭ এবং ৮ বছর বয়সি দুই শিশুর মৃত্যু হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় এখনও হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তাদের মা-বাবা। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এ বার সেই উত্তরপ্রদেশেই একসঙ্গে মৃত্যু হল একই পরিবারের পাঁচ জনের।