সন্দেশখালির ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে পশ্চিমবঙ্গের আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ে। সোমবার সেই প্রশ্নেরই জবাব দিলেন রাজ্য পুলিশের নতুন প্রধান রাজীব কুমার। জানিয়ে দিলেন আইন ভাঙলে রেয়াত করা হবে না কাউকে। সে যেই হোক না কেন।
গঙ্গাসাগর মেলার উদ্বোধনে সোমবার গঙ্গাসাগরে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে হাজির ছিলেন রাজ্যের নতুন ডিজিপি রাজীবও। তাঁকে সন্দেশখালির ঘটনা এবং তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হয়। রাজীবের কাছে জানতে চাওয়া হয় শাহজাহান শেখের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, তা নিয়ে কী পদক্ষেপ করতে চলেছে প্রশাসন? জবাবে রাজীব দৃঢ় স্বরেই বলেন, ‘‘যাঁরা যাঁরা আইন নিজের হাতে তুলে নিয়েছেন তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে কঠিণতম পদক্ষেপ করা হবে। আর যাঁরা আইন ভেঙেছেন তাঁদের বিরুদ্ধেও।’’
এই প্রথম সন্দেশখালির ঘটনায় নিজেদের বক্তব্য জানাল পুলিশ। যে পুলিশের বিরুদ্ধেও গাফিলতির অভিযোগ এনেছে ইডি।
গত শুক্রবার সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে গ্রামবাসীদের হাতে আক্রান্ত হন ইডি কর্তারা। পরে বনগাঁতেও তাঁদের উপর হামলা চালানো হয়। দু’টি ঘটনাতেই ইডির অভিযোগ ছিল পুলিশের বিরুদ্ধে। এর মধ্যে বনগাঁর ঘটনাটিতে ইডি বলে, পুলিশ সুপারকে আগে থেকে জানানো সত্ত্বেও তিনি বাহিনী পাঠাননি। পাঠালে বনগাঁয় প্রাক্তন পুর প্রধান শঙ্কর আঢ্যকে নিয়ে বেরনোর সময় ইডির উপর হামলার ঘটনা আটকানো যেত। সন্দেশখালিতে অবশ্য তেমন সুযোগ ছিল না। তবে ইডি বলেছিল, এফআইআর করা সত্ত্বেও সন্দেশখালির ঘটনায় এফআইআরের কপি দেয়নি পুলিশ।
এই অভিযোগ প্রসঙ্গে অবশ্য আলাদা করে কিছু বলেননি রাজ্যপুলিশের ডিজি। তিনি বলেছেন আইন ভাঙার কথা। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার কথা। জানিয়েছেন, যাঁরা সেটা করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করবে পুলিশ। উল্লেখ্য, ইডির অভিযোগ অনুযায়ী সন্দেশখালির সরবেরিয়া গ্রামের গ্রামবাসীরা অস্ত্র হাতে আক্রমণ করেছিলেন তাঁদের উপর। সেক্ষেত্রে আইন নিজের হাতে তুলে নিয়েছিলেন তাঁরাও। আবার তৃণমূল নেতা শাহজাহানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি বেআইনি ভাবে রেশন দুর্নীতির টাকা পাচার করেছেন। সেক্ষেত্রে আইন ভাঙার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। রাজ্যপুলিশের ডিজি অবশ্য ওই কয়েকটি শব্দের বাইরে একটি কথাও বলেননি।