লাক্ষাদ্বীপ (Lakshadweep) সফরের ছবি সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করতেই কটাক্ষের মুখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এক্স হ্যান্ডেলে তাঁকে ‘ভাঁড়’, ‘হাতের পুতুল’ বলে তোপ দাগেন মালদ্বীপের যুবকল্যাণ মন্ত্রী মারিয়ম শিউনা। তার পরেই রবিবার সাসপেন্ড করা হয় তাঁকে। সেই সঙ্গে সাসপেন্ড করা হয়েছে দুই মন্ত্রী মালশা শরিফ ও মাহজুম মাজিদকে। ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়টি নিয়ে মালদ্বীপ সরকারের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে ভারতীয় হাই কমিশন। উল্লেখ্য, মালদ্বীপের মন্ত্রীর এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই সোশাল মিডিয়ায় শুরু হয় হ্যাশট্যাগ বয়কট মালদ্বীপ। সেদেশে যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করছেন অনেকেই।
গত ৪ জানুয়ারি লাক্ষাদ্বীপ সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে সমুদ্র ও সমুদ্রসৈকতের ছবি পোস্ট করেন তিনি। তার পরেই প্রধানমন্ত্রীর ছবি নিয়ে একের পর এক কটাক্ষ শুরু করেন ‘চিনপন্থী’ মালদ্বীপ (Maldives) সরকারের নেতা-মন্ত্রীরা। যুবকল্যাণ মন্ত্রী মারিয়ম শিউনা সটান ভাঁড় বলে কটাক্ষ করেন মোদিকে। তাঁর লাক্ষাদ্বীপ সফরের ছবি দেখে মালদ্বীপের নেতা জাহিদ রামিজের দাবি, “ভারতের সমুদ্রসৈকতগুলো তো আমাদের মতো পরিষ্কার নয়। ঘর থেকে দুর্গন্ধ আসে।”
একের পর এক অপমানজনক মন্তব্য সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পরে অবশ্য সাফাই দিয়েছে মালদ্বীপের সরকার। বিবৃতি জারি করে বলা হয়, “বাকস্বাধীনতা থাকলেও সেটা ভেবেচিন্তে প্রয়োগ করা উচিত। হিংসা ছড়াতে বা আন্তর্জাতিক মহলে মালদ্বীপের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠতে যেন বাকস্বাধীনতার অপব্যবহার না হয়। সোশাল মিডিয়ায় বিদেশি নেতা ও আধিকারিকদের বিরুদ্ধে নানা অপমানজনক মন্তব্য ঘোরাফেরা করছে। তবে সেগুলো প্রত্যেকটাই ব্যক্তিগত মতামত, তার সঙ্গে মালদ্বীপ সরকারের কোনও সম্পর্ক নেই।”
এহেন পরিস্থিতিতে নড়েচড়ে বসেছে ভারত। ইতিমধ্যেই মালদ্বীপ সরকারের সঙ্গে কথা বলেছে সেদেশের ভারতীয় হাই কমিশন। মালিতে মহম্মদ মুইজুর প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলেই খবর। তবে বিতর্কের মুখে পড়ে অবমাননাকর পোস্টগুলো মুছে দেওয়া হয়েছে। তার পরেই মন্ত্রিসভা থেকে সাসপেন্ড হন মারিয়ম। খানিক পরে জানানো হয়, সরিয়ে দেওয়া হল আরও দুই মন্ত্রীকে। উল্লেখ্য, গত বছর চিনপন্থী মুইজু ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ভারতের সঙ্গে মালদ্বীপের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। এবার অন্য মাত্রায় পৌঁছেছে সেই দ্বন্দ্ব।