পেস-সহায়ক উইকেট থাকা সত্ত্বেও সেঞ্চুরিয়নে প্রথম টেস্টে ভাল বল করতে পারেননি। কিন্তু কেপ টাউনে নিজের টেস্ট জীবনের সেরা বোলিং করলেন মহম্মদ সিরাজ। ৯ ওভারে ১৫ রান দিয়ে ৬ উইকেট যে কোনও বোলারের কাছেই স্বপ্নের মতো। সিরাজ ম্যাচের পর জানালেন, আগের ম্যাচের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েই সফল হয়েছেন তিনি।
ম্যাচের পর হায়দরাবাদের বোলারের সাফ কথা, “আগের ম্যাচে কোথায় কোথায় ভুল করেছিলাম সেটা বুঝতে পেরেছি। সেই মতো নিজের পরিকল্পনা কাজে লাগিয়েছি। চেয়েছি একটা জায়গায় বল করে যেতে। সেটারই পুরস্কার পেয়েছি। এই পিচ অনেকটা সেঞ্চুরিয়নের মতোই।”
আগের ম্যাচে এমন কী করেননি যেটা এই ম্যাচে করলেন? সিরাজের উত্তর, “আমরা (তিনি এবং বুমরা) জুটিতে বল করেছি এবং প্রচুর মেডেন দিয়েছি। আগের ম্যাচের থেকে অনেক বেশি মেডেন হয়েছে। যে কোনও টেস্টেই পর পর মেডেন হতে থাকলে ব্যাটারদের পক্ষে বেশ চাপ হয়ে যায়।”
নিউল্যান্ডসের মতো বোলিং-সহায়ক পিচে যে কোনও বোলারের পক্ষেই বৈচিত্র দেখানোর লোভ সামলানো কঠিন হয়ে যায়। তবে সিরাজের মতে, নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখা জরুরি। বলেছেন, “এ ধরনের উইকেটে যখন বল কথা বলছে, তখন অনেক বোলারই ভাবে বৈচিত্র দেখানোর কথা। লেগ থেকে অফে আউটসুইং করানো বা কোনাকুনি বল ঘোরানোর ভাবনা মাথায় আসতেই পারে। কিন্তু একটা নির্দিষ্ট লাইনে বল করে যাওয়া খুব দরকার।”
সিরাজের সংযোজন, “আপনি যদি নির্দিষ্ট লাইনে বল করে যান তা হলে উইকেট আপনিই আসবে। খুব বেশি বৈচিত্র দেখাতে গেলে আপনি নিজেই ধন্দে পড়ে যাবেন।” ক্রমাগত উপদেশ দেওয়ার জন্য সিরাজ ধন্যবাদ জানিয়েছেন কেএল রাহুল এবং যশপ্রীত বুমরাকে। বলেছেন, “কোনও সিনিয়র বোলার বা উইকেটকিপার যদি আপনাকে বলে দেয় কোনটা সঠিক লেংথ, তা হলে কাজ অনেকটা সহজ হয়ে যায়।”