১৮৪ জন ভারতীয় মৎস্যজীবীকে অবিলম্বে ভারতে ফেরত পাঠানোর জন্য ইসলামাবাদকে কড়া বার্তা দিল দিল্লি। ওই ১৮৪ জন মৎস্যজীবী পাকিস্তানের জেলে বন্দি ছিলেন। তাদের সাজার মেয়াদ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। এবার তাদের অবিলম্বে ভারতে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে। পাশাপাশি ১২ জন বেসামরিক বন্দি যারা ভারতীয় বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে তাদেরকেও অবিলম্বে কনস্যুলারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দিতে বলা হয়েছে।
২০০৮ সালের এক চুক্তি অনুযায়ী প্রতিবছর ১ জানুয়ারি ও ১ জুলাই ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশ একে অপরের সঙ্গে বেসামরিক বন্দি ও মৎস্যজীবীদের তালিকা বিনিময় করে, সেই প্রেক্ষিতে বিদেশ মন্ত্রক থেকে এই বার্তা দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানকে। বিদেশ মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী ভারত সরকারের লাগাতার চেষ্টার ফলে ২০১৪ সাল থেকে এখনো পর্যন্ত ২৬৩৯ জন ভারতীয় মৎস্যজীবী ও ৬৭ জন বেসামরিক বন্দিকে পাকিস্তান থেকে ফিরিয়ে আনা গিয়েছে।
এদিকে ভারতীয় ৮১ জন মৎস্যজীবী ও ৩৩৭ জন বেসামরিক বন্দিকে হেফাজতে রাখা হয়েছে। যারা হয় পাকিস্তানি কিংবা পাকিস্তানি বলে অনুমান করা হচ্ছে, সেই তালিকাও দিল্লি থেকে ইসলামাবাদে পাঠানো হয়েছে।
একইসঙ্গে পাকিস্তানের তরফেও তালিকা পাঠানো হয়েছে। ১৪৪ জন মৎস্যজীবী ও ৪৭ জন বেসামরিক বন্দি যারা ভারতীয় বা প্রাথমিকভাবে ভারতীয় বলে অনুমান করা হচ্ছে।
বিদেশ মন্ত্রক থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, পাকিস্তানের হেফাজতে থাকা বেসামরিক বন্দি, নিখোঁজ ভারতীয় প্রতিরক্ষা কর্মী ও মৎস্যজীবীদের তাদের নৌকা সহ দ্রুত দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য বলেছে সরকার।
বিদেশ মন্ত্রকের তরফে আরো জানানো হয়েছে, ভারত সব সময় অন্য দেশের বন্দি মৎস্যজীবীদের সঙ্গে যুক্ত মানবিক বিষয়গুলিকে অগ্রাধিকার দিয়ে বিবেচনা করে থাকে। সেই কারণে ৬৫ জন বন্দি যারা পাকিস্তানি বলে সন্দেহ করা হচ্ছে, তাদের সে দেশের নাগরিকত্ব নিশ্চিত করার জন্য পাকিস্তানকে জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক। তাদের নাগরিকত্ব পাকিস্তান থেকে নিশ্চিত না হওয়ার কারণে সে দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া এগোনো যাচ্ছে না।