Dilip Ghosh: ‘নেতাদের সঙ্গে স্বার্থের সম্পর্ক’, তৃণমূলে ‘মুষল পর্ব’কে কটাক্ষ দিলীপের!

ইকোপার্কে মর্নিং ওয়াকে এসে তৃণমূলে ‘মুষল পর্ব’ নিয়ে মুখ খুললেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “কোনও দলের যদি ভাবাদর্শ বা কর্ম পদ্ধতি না থাকে, কোনও বড় উদ্দেশ্য না থাকে, তাহলে তা বেশিদিন টেকে না। তৃণমূলের অবস্থা তাই। মানুষ সিপিআইএমের অত্যাচার থেকে বাঁচার হাতিয়ার হিসেবে এদের এনেছিল। এখন কেবল ক্ষমতা আর টাকা যদি কোনও পার্টির উদ্দেশ্য হয়, তাহলে তার কী পরিণতি হয়, আমরা দেখতে পাচ্ছি। মুষল পর্ব আগেই চলছিল। কাল সেটা প্রকাশ্যে এল। নেতাদের সঙ্গে স্বার্থের সম্পর্ক। সেটা ফুরিয়ে গেলেই শেষ। তৃণমূল সিপিএম কংগ্রেস যেই থাকুক, তাতে আমাদের সুবিধা অসুবিধা কিছু নেই। এই দল তো একদিন যাবেই। বিজেপি একটা লক্ষ্য নিয়ে চলে। লক্ষ লক্ষ কর্মী পরিশ্রম করেন। আমরা ভোটে জিতে মানুষকে উন্নয়ন দিই।” 

পাশাপাশি দিলীপ ঘোষ ববির ‘বোধোদয়’ নিয়েও কটাক্ষ করেন। বলেন,  “ভোট এলে এরকম হয়। একটু ক্ষমা-টমা চায়। সিবিআই-ইডি কাজ করলে বা চোর ধরলে রাস্তায় নামেন কেন? পদ থেকে লোকগুলোকে সরান না কেন? এটা দ্বিচারিতা নয়? দোষীদের আড়াল করা বন্ধ করুন। ওদের নিজেদের মধ্যে আগে বিচার করুন। বেশিরভাগ লোক জেলে। কেউ কেউ বেলে। কেউ লিস্টে আছে। ফলে উনি কী বললেন সেটা নিয়ে রাজ্যের মানুষ খুব একটা ভাবিত নন। এগুলো সবই পাবলিক জানে। পরিস্থিতি খারাপ দেখে উনি এখন এগুলো বলছেন।” তৃণমূলের জনসংযোগে জোরকেও আমল দিতে নারাজ দিলীপ ঘোষ। বলেন, “আগে পার্টি বাঁচান। তারপর তো জনসংযোগ। মানুষ তো এবার এলাকায় গেলে গাছে বেঁধে রাখবে। চাকরির দাবিতে, ডিএর দাবিতে সর্বত্র ধরনা চলছে। এরপর আবার উন্নয়ন?”

পাশাপাশি, এদিন সুপ্রিম কোর্টে কামদুনি মামলার শুনানি প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ জানান বিজেপি কামদুনির আন্দোলনকারীদের পাশে আছে। তোপ দাগেন, সরকার চুপ করে গিয়েছে। তবে বিজেপি পাশে আছে। বলেন, “জঘন্য অপরাধ। তাঁরা লড়াই করছেন। আমরা পাশে আছি। আইনি সমর্থন করছি।” শুধু কামদুনি কাণ্ড নয়, উত্তরপ্রদেশে ২ মাস পর ধর্ষণে অভিযুক্ত বিজেপি যুব নেতা গ্রেফতারর ঘটনাতেও দলের অবস্থান স্পষ্ট করেন দিলীপ ঘোষ। বলেন,”যে কোনও মানুষ ভুল করতে পারে। দেখতে হবে দল বা সরকারের তার প্রতি কী মনোভাব? ধর্ষণের অভিযোগ এসেছে। পুলিস তাকে গ্রেফতার করেছে। পশ্চিমবঙ্গে গ্রামে গ্রামে দেখুন। এই ধরনের অভিযোগে কজন গ্রেফতার হয়? সব তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত। বিজেপি করে দেখায়। মন্ত্রীর ছেলে গোলমাল করেছিল। তাকেও জেলে ঢুকিয়েছে। বাকি আইন দেখবে।” 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.