বিশ্বকাপে খেলার সময় প্রতি দিন ইঞ্জেকশন নিতেন মহম্মদ শামি। বাংলার পেসারের এক ঘনিষ্ঠ সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। এখনও সুস্থ হয়ে উঠতে পারেননি তিনি। সেই কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে শামি খেলতেও যেতে পারেননি। বিশ্বকাপের ফাইনালে হারের পর থেকে মাঠের বাইরে তিনি। খেলা থেকে আর কত দিন দূরে থাকতে হবে তাঁকে?
পুরনো একটি চোটের কারণে ব্যথা ছিল শামির। তাই নিয়মিত ইঞ্জেকশন নিতে হত তাঁকে। সেই ভাবে খেলেই বিশ্বকাপে সব থেকে বেশি উইকেট তুলে নিয়েছিলেন শামি। ৭ ম্যাচে নিয়েছিলেন ২৪টি উইকেট। শামির এক প্রাক্তন সতীর্থ সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে বলেন, “বাঁ পায়ের গোড়ালিতে দীর্ঘ দিন ধরেই চোট শামির। অনেকেই এটা জানে না যে, বিশ্বকাপের সময় নিয়মিত ইঞ্জেকশন নিত ও। সেই ভাবেই গোটা প্রতিযোগিতা খেলেছিল। এটা বুঝতে হবে যে, বয়স বাড়লে যে কোনও চোট সারতে বেশি সময় লাগে।” দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে না পাওয়া গেলেও আশা করা হচ্ছে, ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে শামিকে পাওয়া যাবে।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণের বোলিং দেখার পর শামির অভাব আরও বেশি করে অনুভব করতে শুরু করেছেন সমর্থকেরা। যদিও অধিনায়ক রোহিত শর্মা বোলারদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। ম্যাচ শেষে তিনি বলেছিলেন, “আমাদের বোলারেরা চেষ্টা করেছে। ওদের মধ্যে অনেকেই প্রথম বার এখানে বল করল। আমি তাই ওদের ভুল ধরব না।”
শামির বদলে ভারত দ্বিতীয় টেস্টে আবেশ খানকে দলে নিয়েছে। আবেশ দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ভারতের সাদা বলের সিরিজ়ে ছিলেন। তিনি এখনও পর্যন্ত ভারতের হয়ে টেস্ট খেলেননি। দেশের হয়ে আটটি এক দিনের ম্যাচ এবং ১৯টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন আবেশ। সব মিলিয়ে নিয়েছেন ২৭টি উইকেট।