মহিলাদের প্রতি সম্মান প্রসঙ্গে সমালোচকদের একহাত নিলেন প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায়।
তথাগতবাবু এক্স হ্যাণ্ডেলে লিখেছেন, “আমাকে মহিলাদের প্রতি সম্মান শেখাবার জন্য মুলোগুষ্ঠি একেবারে ফেটে পড়ছে দেখছি! কান খুলে শুনে রাখুন। যে সব ক্ষেত্রে মহিলারা শারীরিক কারণে পুরুষের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে পারেন না (যেমন ঋতুকালীন অসুস্থ অবস্থায়) সেসব ক্ষেত্রে মহিলাদের সম্মান দিতেই হবে। কিন্তু যেখানে মহিলারা পুরুষের সঙ্গে সমানে সমানে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন (যেমন রাজনীতি) সেখানে তাঁরা অতিরিক্ত সম্মান দাবি করতে পারেন না। বিশেষ করে যদি তাঁরা সায়নী ঘোষের সদৃশ মেয়েছেলেটির মত রাজনৈতিক কারণে শিবলিঙ্গে কনডম পরাবার মত গর্হিত নোংরামি করে থাকেন।
মহিলাদের সম্মানের জন্য যে সব মুলোর প্রাণ ফেটে যাচ্ছে তাদের জিজ্ঞাসা করি, রাজ্যে যে প্রায় দেড় কোটি মুসলমান মহিলা আছেন, তাঁদের যে বীভৎস্য ভ্যাপসা গরমের মধ্যেও একটা কালো তাঁবু – অর্থাৎ বোরখা পরে ঘুরে বেড়াতে হয় সে সম্বন্ধে কী করেছেন? নিজেরা কখনো বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ বা ভাদ্র মাসে ঐরকম তাঁবু ঝুলিয়ে সারাদিন রোদে ঘুরে দেখুন তো, কেমন লাগে? কামাল আতাতুর্ক তুরস্কে একশো বছর আগে এই জঘন্য প্রথা তুলে দিয়েছিলেন- অত যদি মহিলাদের জন্য দরদ তবে আপনারা তুলে দেখান তো।
যে কু-প্রথার ফলে স্বৈরাচারী মুসলিম স্বামীরা যখন খুশি তালাক দিয়ে দিতে পারে সে ব্যাপারেও তো মোদীজিকেই পদক্ষেপ নিতে হল! এখনো সেই স্বামী তিনটে সতীন নিয়ে আসতে পারে! যত ওস্তাদি শুধু স্বামী বিবেকানন্দ আর ফুটবল নিয়ে!”
স্বামী বিবেকানন্দ ও ফুটবল প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের মন্তব্যের প্রতিবাদ জানাতে মঙ্গলবার তৃণমূলের দুই নেত্রী অনুগামীদের নিয়ে প্রকাশ্য রাস্তায় ফুটবল খেলেছিলেন। সেই ছবি যুক্ত করে বুধবার তথাগতবাবু এক্স হ্যাণ্ডেলে লেখেন, “মেয়েছেলে ভাঁড় একটি বিরল প্রজাতি। তাদেরকে চিড়িয়াখানার বাইরে এনে তাদের দিয়ে ভাঁড়ামো দেখাবার প্রচেষ্টাকে জানাই অভিনন্দন।” একই ছবি যুক্ত করে অপর একটি মন্তব্যে তিনি লিখেছেন, “যে মহিলাটি শিবলিঙ্গের উপর কনডম পরিয়ে তাবৎ শিবভক্ত তথা হিন্দুধর্মের অপমান করেছিল সে এখন মুলোদিদিমার হুকুমে শাড়ি সামলে স্বামীজিকে ফুটবল বানাচ্ছে।
হিন্দুধর্মের ও স্বামীজীর এমন অপমান আর কেউ করেছে বলে মনে পড়ে না।” এর প্রক্ষিতে কেউ কেউ এক্স হ্যাণ্ডেলে আক্রমণের চেষ্টা করেন তথাগতবাবুকে। তারই কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তিনি।