পুরসভার কাছে কোনও খবর নেই, অথচ নদী দখল করে বিজ্ঞাপন দেওয়ার লোহার স্থায়ী কাঠামো বসানো হচ্ছে। তাও আবার পুরসভার ভবন থেকে ঢিল ছোঁড়া দুরত্বে করলা সেতু সংলগ্ন নদীতে।
গত ১০ দিন ধরে জলপাইগুড়ি পুরসভা এলাকার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাবু পাড়া এলাকায় করলা নদীতে লোহা দিয়ে স্থায়ী পরিকাঠামো তৈরির কাজ চালান হচ্ছিলো। ওই কাজের সাথে যুক্ত থাকা ব্যক্তি দীপক বিত্তার জানিয়েছেন, বিজ্ঞাপনের জন্য ৪০ ফুট চওড়া এবং ২০ ফুট উচ্চতার এই স্থায়ী পরিকাঠামো তৈরি করা হচ্ছে।
এই ঘটনা নজরে আসতেই প্রশ্ন উঠতে থাকে একেবারে নদীর ধারে কীভাবে এই পরিকাঠামো তৈরির অনুমোতি দেওয়া হলো? শুধু তাই এই কাজের জন্য একদিকে যেমন দৃশ্য দূষণ হবে অন্যদিকে নদীর সৌন্দর্য বিঘ্ন হবে। তাছাড়া এই কাজের জন্য সেচ দপ্তর থেকে কোনও অনুমতি নেওয়া হয়েছিলো কিনা? আবার পুরসভা থেকেই–বা এই কাজের অনুমতি দেওয়া হলো কীভাবে?
লোহার স্থায়ী পরিকাঠামো তৈরি করার কর্মী দীপক বিতার বলেন, “পুরসভার অনুমতি নিয়ে এই কাজ করা হচ্ছে।”
এদিন এই বিষয়ে পুরসভার উপ পুরপ্রধান সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন, তিনি সংবাদ মাধ্যমের কাছ থেকেই করলা নদীতে এই ধরনের পরিকাঠামো তৈরির করার খবর পেয়েছেন। খবর পাওয়ার পরেই দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন। করলা নদীর মধ্যে এই ভাবে পরিকাঠামো তৈরি করা হলে নদীর সৌন্দর্য নষ্ট হবে।” এদিকে এই বিষয়ে পুরসভার পুরপ্রধান পাপিয়া পাল বলেন, “আমি খোঁজ করে দেখছি।”