পাখির চোখ চব্বিশ। চব্বিশের লোকসভা ভোটে বাংলায় উচ্চাকাঙ্ক্ষী টার্গেট বিজেপি। বঙ্গে ৩৫ আসন বিজয়ের লক্ষ্য গেরুয়া শিবিরের। আর সেই লক্ষ্যপূরণের ১৫ জনের নির্বাচনের কমিটি বেছে নিলেন শাহ-নাড্ডা। তবে বিজেপির নির্বাচনী কমিটিতে নেই ৪ মন্ত্রী। জায়গা পেলেন না জন বারলা, নিশীথ প্রামাণিক, সুভাষ সরকার ও শান্তনু ঠাকুর। জায়গা পেলেন না কোর কমিটির ৫ জনও। কমিটিতে নেই মিঠুন চক্রবর্তী, স্বপন দাশগুপ্ত, অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্য়ায়, দেবশ্রী চৌধুরী ও মনোজ টিগ্গা।
এখন প্রশ্ন তাহলে ১৫ জনের কমিটিতে কে কে আছেন? কমিটিতে রয়েছেন- সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী, রাহুল সিনহা, অমিতাভ চক্রবর্তী, সতীশ ধন্দ, মঙ্গল পান্ডে, অমিত মালব্য, সুনীল বনসল, লকেট চট্টোপাধ্য়ায়, আশা লাকড়া, অগ্নিমিত্রা পাল, জগন্নাথ চট্টোপাধ্য়ায়, জ্যোতির্ময় সিং মাহাত ও দীপক বর্মণ। এখন এই নির্বাচন কমিটি আগামী ২০২৪ লোকসভা ভোটের সমস্ত দায়ভার বহন করবে। সেখানে এই নির্বাচন কমিটিতে ৪ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর নাম না থাকা নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ বলে মত ওয়াকিবহল মহলের। এই নির্বাচন কমিটি অমিত শাহ ও জে পি নাড্ডার দেখানো পথ অনুযায়ী চব্বিশের ভোটে লড়তে রণকৌশল তৈরি করবে।
সূত্রের খবর, ১৫ জনকে নিয়ে ওই নির্বাচনী কমিটি গড়ে দিয়েছেন অমিত শাহ নিজে। এমনকি বৈঠকে লোকসভা ভোটে প্রার্থী হিসেবে ২০ বিধায়কের নাম নিয়েও আলোচনা হয়েছে। শেষপর্যন্ত যদি বিধায়করা টিকিট পান, তাহলে বাদ পড়তে পারে বর্তমান কয়েকজন সাংসদের নাম। অমিত শাহর যা নির্দেশ, সেই নির্দেশ নিয়ে আলোচনা করতে আগামিকাল বুধবার বৈঠকে বসছেন বঙ্গ বিজেপি।
প্রসঙ্গত শাহ-নাড্ডার বার বার বঙ্গ সফর নিয়ে এদিন সকালেই দিলীপ ঘোষ বলেন, “দল এই রাজ্যকে কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে সেটা পরিষ্কার। শীর্ষ নেতা, বিশেষত অমিত শাহ, যার নেতৃত্বে বিজেপি এই রাজ্যে বেড়ে ১৮ হয়েছে। তিনি বার বার রাজ্যে আসছেন। সঙ্গে সভাপতিও এসেছেন। এই দলের জন্ম পশ্চিমবঙ্গে। সব সময় টার্গেট একটু বেশি বেঁধে দেন। আগের বার ২২ দিয়েছিলেন। আমরা ১৮ টা করে দেখিয়েছি। এবারও আশা আছে বাংলা বিমুখ করবে না। তাই বার বার আসছেন। মাঝে কয়েক বছর লাগাতার অত্যাচারে কর্মীরা মনোবল হারিয়েছেন। সেটা ফেরাতেই তাঁদের বার বার এখানে আসা।”