এদিন ইকোপার্কে মর্নিং ওয়াকের সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে চাকরিপ্রার্থীদের জামিনে ধন্যবাদ জানালেন আদালতকে। দিলীপ ঘোষ বলেন, “আদালতকে ধন্যবাদ দেব। আন্দোলনকারীদের ধন্যবাদ। এর মধ্যে একটি ছেলে মেদিনীপুরে আমার এলাকার। তার বাবার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। এই সরকার চাকরি দিতে পারে না। ভাতা দেয় না। তার বিরুদ্ধে আন্দোলন করার অনুমতি দেয় না। সেটা কোর্টে গিয়ে নিয়ে আসতে হয়। তারপর তাদের ধরে জেলে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। এই নির্মমতা ভাষায় প্রকাশ করা যায়না। এটা যে ভুল সেটা কোর্টে প্রমাণিত।”
পাশাপাশি মুখ খোলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের মিমিক্রি করা নিয়েও। বলেন, “মানুষের বয়সের এবং শিক্ষার সঙ্গে পরিবর্তন আসে। সব কিছুর একটা সীমা থাকা উচিত। কার সম্পর্কে কোথায় কী বলছেন। সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা হয়তো ওনারা হারিয়ে ফেলেছেন। প্রতিনিয়ত এরকম কেন ঘটছে? এটা কারুর জীবন পদ্ধতি হতে পারে। সমাজ কি এটা মেনে নেবে? আমাদের পরের প্রজন্মের কাছে এটা কি কোনও ভালো উদাহরণ?” প্রশ্ন তোলেন দিলীপ ঘোষ। পাশাপাশি, এদিন শহরে শাহ-নাড্ডার ঠাসা কর্মসূচি নিয়েও দিলীপ ঘোষ বলেন, “দল এই রাজ্যকে কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে সেটা পরিষ্কার। শীর্ষ নেতা, বিশেষত অমিত শাহ, যার নেতৃত্বে বিজেপি এই রাজ্যে বেড়ে ১৮ হয়েছে। তিনি বার বার রাজ্যে আসেন। সঙ্গে সভাপতি এসেছেন। এই দলের জন্ম পশ্চিমবঙ্গে। সব সময় টার্গেট একটু বেশি বেঁধে দেন। আগের বার ২২ দিয়েছিলেন। আমরা ১৮ টা করে দেখিয়েছি। আশা আছে বাংলা বিমুখ করবে না। তাই বার বার আসছেন। মাঝে কয়েক বছর লাগাতার অত্যাচারে কর্মীরা মনোবল হারিয়েছেন। সেটা ফেরাতেই তাঁদের বার বার এখানে আসা।”
যদিও অর্জুন সিংয়ের চব্বিশের লোকসভা ভোটে ইন্ডিয়ার ক্ষমতায় আসা ও মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দাবিকে আমল দিচ্ছেন না দিলীপ ঘোষ। পালটা কটাক্ষে তাঁর জবাব, “স্বাভাবিক ব্যাপার। মমতা যাতে খুশি হবে উনি সেটাই বলবেন। যখন বিজেপিতে ছিলেন, তখন বিজেপির হয়ে বলতেন। কিন্তু দেখতে হবে বাস্তব পরিস্থিতি কী? আজ উনি কোথায়? পার্টিতে ওনার কী গুরুত্ব? উনি কী এরকম বলে এবার পার্টির টিকিট পাবেন? পার্টির ভবিষ্যত নিয়েই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। যতক্ষণ সব ঠিক আছে, আছে। তির আপনার দিকে ঘুরলেই প্রশ্ন ওঠে। ওনার ওখানেই প্রচুর বিরোধী আছে। আমরা তাকে জিতিয়ে সাংসদ করেছি। ওনার নিজের অস্তিত্ব রক্ষা কঠিন হয়ে গিয়েছে।”