দারিদ্র্যতা ক্রমশ গ্রাস করছে মানুষের বুদ্ধি, বৃত্তি ও সত্তাকে। ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশে খাদ্য, বাসস্থান ও শিক্ষার জন্য প্রতিনিয়ত মানুষ সংগ্রাম করে চলেছে। শিশু শ্রমের বিরুদ্ধে আইন থাকলেও একটু লক্ষ্য করলে দেখা যায়, হোটেল রেঁস্তোরা বা চায়ের দোকানে কাজ করছে কোনো দরিদ্র শিশু। প্রয়োজনীয় শিক্ষা টুকুও তারা অর্জন করতে পারেনি। তাদেরকে দেখলে মনে হয়, সমাজ পরিবার পরিজন থেকে তারা যেন বিচ্ছিন্ন। এইসব দরিদ্র শিশুকে সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনতে নিরলস প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে ‘হোপ ফাউন্ডেশন’।
১৯৯৯ সাল থেকে দারিদ্রের বিরুদ্ধে লড়াই করতে করতে ‘হোপ ফাউন্ডেশন’ এর পথচলা। হাজার হাজার অনাথ ও পথশিশুদের শৈশব জীবন ও তাদের অধিকারকে ফিরিয়ে আনতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছে এই সংস্থা। এমনকি ওইসব শিশুরা ভবিষ্যতে কি হতে চায়? বা তাদের ইচ্ছে কি রয়েছে? তা নিয়েও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে এই সংস্থা। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে এই সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে যুক্ত হন হলিউড নাট্যকার তথা অভিনেতা জেরেমি জন আইরন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন টলিউড পরিচালক অনীক দত্ত, ‘হোপ ফাউন্ডেশনের’ ডিরেক্টর মৌরিন ফোরেস্ট ও গীতা ভেঙ্কডকৃষ্ণন।
এদিন এই সংস্থায় যোগ দিয়ে হলিউড অভিনেতা জেরেমি আইরন বলেন, “শুধুমাত্র এটা নিয়ে আলোচনায় যথেষ্ট নয়। আমাদেরকে নিশ্চিত করতে হবে প্রতিটি শিশু শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের দিকে যথাযোগ্য পরিষেবা পায়। আমি খুবই খুশি হয়েছি এই সংস্থার একটা অংশ হতে পেরে। বিশ্বের প্রতিটি শিশুই গুরুত্বপূর্ণ, ‘হোপ ফাউন্ডেশন’ সেই শিশুগুলির স্বপ্ন পূরণ করবে।” এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে পরিচালক অনীক দত্ত বলেন, “সমাজের দুঃস্থ শিশুদের নিয়ে এই ধরনের একটি পদক্ষেপ খুবই প্রশংসনীয়। আমি শিশুদের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, তাদের প্রত্যেকেরই প্রতিভা রয়েছে। রাষ্ট্রের উচিত এইসব শিশুদের অধিকারকে মান্যতা দেওয়া।”
ভাস্কর মান্না