জিন্দল গোষ্ঠীর কর্ণধার সজ্জন জিন্দলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছেন এক অভিনেত্রী। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বুধবার মুম্বইয়ের বিকেসি থানায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিনেত্রীর বয়ানের ভিত্তিতে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬, ৩৫৪ ও ৫০৬ ধারায় মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযোগকারিণীর দাবি, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ তাঁর কথায় গুরুত্ব দেয়নি। পরে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন। এ বার আদালতের নির্দেশেই এফআইআর দায়ের করতে বাধ্য হয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, চিকিৎসক-অভিনেত্রীর অভিযোগ, ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে ঘটনাটি ঘটেছে। বান্দ্রা-কুরলা কমপ্লেক্সে সংস্থার সদর দফতরের পেন্টহাউসে তাঁকে ধর্ষণ করেছেন জিন্দল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬, ৩৫৪ ও ৫০৬ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। শুরু হয়েছে তদন্তও। সংবাদমাধ্যম ‘হিন্দুস্থান টাইমস’ তাদের প্রতিবেদনে দাবি করেছে, ধর্ষণের অভিযোগ ওঠায় জিন্দল গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তাদের তরফে এখনও কোনও বিবৃতি এ ব্যাপারে প্রকাশ করা হয়নি।
এফআইআর-এ অভিনেত্রী দাবি করেছেন, চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি প্রথম বার তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হন। কিন্তু সেই সময় তাঁর অভিযোগ গ্রহণ করা হয়নি। সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি-টিভি১৮ তাদের প্রতিবেদনে দাবি করেছে, অভিনেত্রী তাদের জানিয়েছেন যে, তিনি যখন প্রথম বার পুলিশের দ্বারস্থ হন, তাঁর কথায় বিশেষ গুরুত্বই দেওয়া হয়নি। অভিযোগের কোনও প্রতিলিপিও দেওয়া হয়নি। যার অর্থ, তখন এফআইআর-ই দায়ের করেনি পুলিশ। এর পর গত ৫ ডিসেম্বর অভিনেত্রী বম্বে হাই কোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করেন। সেই মামলায় গত ১২ ডিসেম্বর পুলিশকে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দেয় আদালত। সেই নির্দেশের পরেই ১৩ ডিসেম্বর অর্থাৎ বুধবার এফআইআর দায়ের করে পুলিশ।
যদিও এফআইআর দায়েরে গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করেছে মুম্বই পুলিশ। ডিসিপি দীক্ষিতকুমার গিদাম সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি-টিভি১৮-কে বলেন, ‘‘আইন মেনেই যা করার করছে মুম্বই পুলিশ। এফআইআর দায়েরে আমাদের দিক থেকে কোনও গাফিলতি ছিল না। মহিলাদের সুরক্ষা সংক্রান্ত বিষয় অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখে মুম্বই পুলিশ।’’ এ ব্যাপারে সজ্জনকে এখনও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়নি বলেই নিজেদের প্রতিবেদনে দাবি করেছে সিএনবিসি-টিভি১৮।