দক্ষিণ আফ্রিকায় সিংহ-গর্জন। তার সুবাদে ২০০ বল বাকি থাকতে জয় দিয়ে এক দিনের সিরিজ় শুরু করল ভারতীয় দল। রবিবার জোহানেসবার্গে লোকেশ রাহুলেরা জিতলেন ৮ উইকেটে। প্রথমে ব্যাট করে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস শেষ হয়ে যায় ১১৬ রানে। আরশদীপ সিংহের দাপটের সামনে সুবিধা করতে পারলেন না প্রোটিয়া ব্যাটারেরা। জবাবে রুতুরাজ গায়কোয়াড় এবং শ্রেয়স আয়ারের উইকেট হারিয়ে সহজ জয় তুলে নিল ভারত। ১৬.৪ ওভারে ২ উইকেটে ১১৭ রান ভারতের। গত পাঁচ বছরে এই প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে এক দিনের ম্যাচ জিতল ভারত।
বিশ্বকাপে ইডেনে ভারতের বিরুদ্ধে ৮৩ রানে শেষ হয়ে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই স্মৃতি ফিরে এল রবিবার। ঘরের মাঠেও টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ১১৬ রানে শেষ হয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা। আরশদীপ নেন ৫ উইকেটের পাশাপাশি আবেশ খান নেন ৪ উইকেট। একটি উইকেট কুলদীপ যাদবের।
এক দিনের বিশ্বকাপে ভারতের যশপ্রীত বুমরা, মহম্মদ শামিদের দাপটে শেষ হয়ে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। রবিবার আরশদীপ এবং আবেশ শেষ করে দিলেন প্রোটিয়াবাহিনীকে। দক্ষিণ আফ্রিকার কোনও ব্যাটার ক্রিজ়ে টিকতে পারেননি। টি-টোয়েন্টির মতো খেলতে গেছিলেন তাঁরা। প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
আরশদীপদের সুইং বুঝতে পারেননি রিজ়া হেন্ড্রিক্সেরা। ৩ রানে ২ উইকেট হারানোর পর ওপেনার টোনি ডি জর্জি (২৮) এবং অধিনায়ক এডেন মার্করাম (১২) বড় জুটি তৈরির চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ৩৯ রানের বেশি করতে পারেননি তাঁরা। মার্করামেরা আউট হতে আবার তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং।
আরশদীপ ১০ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে ৫ উইকেট তুলে নেন। তাঁকে প্রথম স্পেলে টানা ৭ ওভার বল করানো হয়। সেই সময় ৪ উইকেট তুলে নেন আরশদীপ। পরের স্পেলে এসে আরও একটি উইকেট নেন তিনি। আবেশ প্রথম স্পেলে ৬ ওভার বল করেন। তখন তিনিও ৪ উইকেট তুলে নেন। ৭৩ রানে ৮ উইকেট চলে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। সেখান থেকে অ্যান্ডিল ফেলুকায়ো ৪৯ বলে ৩৩ রান করে দলকে লজ্জার হাত থেকে কিছুটা রক্ষা করেন। ১০০ রানের গণ্ডি পার করে দক্ষিণ আফ্রিকা।
জয়ের জন্য ১১৭ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে সহজ জয় তুলে নিল ভারত। ওপেনার রুতুরাজ (৫) দ্রুত আউট হয়ে যাওয়ায় ভারতীয় ইনিংসের শুরুতে কিছুটা চাপ তৈরি হয় । কিন্তু অন্য ওপেনার সাই সুদর্শন এবং তিন নম্বরে নেমে শ্রেয়স সেই চাপ কাটিয়ে দলকে জয়ের দরজায় পৌঁছে দেন। সুদর্শন অপরাজিত থাকলেন ৪৩ বলে ৫৫ রানের ইনিংস খেলে। ৯টি চার দিয়ে সাজালেন নিজের ইনিংসটি। ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়া উচিৎ ছিল শ্রেয়সেরও। শেষ বেলায় অকারণ আগ্রাসী হতে গিয়ে উইকেট ছুড়ে দিলেন তিনি। শ্রেয়সের ৪৫ বলে ৫২ রানের ইনিংসে রয়েছে ৬টি চার এবং ১টি ছয়। শেষ পর্যন্ত সুদর্শনের সঙ্গে ২২ গজে ছিলেন তিলক বর্মা (অপরাজিত ১)। দক্ষিণ আফ্রিকার কোনও বোলারই উল্লেখযোগ্য কিছু করতে পারেননি।