মরণপণ লড়াই। জমাট রক্ষণ এবং দুর্দান্ত গোলকিপিং। অ্যাওয়ে ম্যাচে শক্তিশালী মুম্বই সিটি এফসিকে আটকে দিল ইস্টবেঙ্গল। এক ম্যাচে লিগ টেবিলের তলানিতে থাকা পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে ড্র। পরের ম্যাচেই পয়েন্ট টেবিলের উপরের সারিতে থাকা মুম্বই সিটি এফসিকে আটকে দেওয়া। কার্লেস কুয়াদ্রাতের ইস্টবেঙ্গল যেন খামখেয়ালি আবহাওয়ার মতোই বদলে যাচ্ছে প্রতি ম্যাচে।
বিপক্ষ মুম্বই সিটি এফসি। আইএসএলের অন্যতম সেরা দল। তাও আবার অ্যাওয়ে ম্যাচ। মুম্বই উড়ে যাওয়ার আগে ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত যতই ৩ পয়েন্টের জন্য খেলার দাবি করুন না কেন, তিনি নিজেও সম্ভবত জানতেন এই ম্যাচ এক পয়েন্ট পাওয়াটাও এই ইস্টবেঙ্গল দলের জন্য খারাপ ফলাফল হবে না। সেই মতোই দলের স্ট্র্যাটেজি সাজিয়েছিলেন তিনি। ম্যাচের একেবারে প্রথম মিনিট থেকে নিজেদের অর্ধে রক্ষণ সামলালো গোটা ইস্টবেঙ্গল দল। যার সুফলও মিলল। মরণপণ রক্ষণের জোরে মুম্বই থেকে ১ পয়েন্ট নিয়ে ফিরল লাল-হলুদ ব্রিগেড।
ম্যাচের শুরুটা হয়েছিল প্রত্যাশিতভাবেই। গোটা প্রথমার্ধ মাঠজুড়ে দাপিয়ে খেলে গেল মুম্বই সিটি এফসি। আর ইস্টবেঙ্গল বেশিরভাগ সময় আটকে গেল রক্ষণে। ফাইনাল থার্ডে মুম্বই সিটি এফসির ফরওয়ার্ডরা একাধিক ভুল সিদ্ধান্ত না নিলে হয়তো প্রথমার্ধেই ম্যাচের ফলাফল নির্ধারিত হয়ে যেতে পারত। কিন্তু সেই সুযোগ নষ্টের জেরে প্রথমার্ধে গোল করতে পারেনি তারা। ইস্টবেঙ্গলও কাউন্টার অ্যাটাকে সেভাবে সুবিধা করতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল। ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণ ভাঙার মরিয়া চেষ্টা করল মুম্বই। আর ইস্টবেঙ্গল মাটি কামড়ে লড়ে গেল নিজেদের দুর্গ অভেদ্য রাখতে। রক্ষণভাগের কথা তো বলতে হয়ই, সেই সঙ্গে আলাদা করে বলতে হয় গোলরক্ষক প্রভসুখন গিলের কথা। গোটা ম্যাচে লাল-হলুদ গোলরক্ষক যেন চিনের প্রাচীরের মতো নিজের দুর্গ সামলেছেন।
এই ড্রয়ের ফলে পয়েন্ট টেবিলের ৭ নম্বরে রইল ইস্টবেঙ্গল। ৯ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ১০ পয়েন্ট। তবে স্বস্তির খবর হল, শেষ চার ম্যাচে হারতে হয়নি লাল-হলুদ শিবিরকে। তাছাড়া দলের রক্ষণও বেশ ভালো খেলছে। সুতরাং লাল-হলুদ সমর্থকরা আগামী দিনে আশার আলো দেখতেই পারেন।