সংসদ হানার মাস্টারমাইন্ড ললিত ঝা-র সাত দিনের পুলিস হেফাজত হয়েছে ইতিমধ্যেই। সংসদের নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনার পুনর্নির্মাণ করবে দিল্লি পুলিসের স্পেশাল সেল। হয় আজ নয়তো কাল অভিযুক্তদের সংসদ চত্বরে নিয়ে এসে হবে পুনর্নির্মাণ। সঙ্গে কালার স্প্রে নিয়ে কীভাবে তারা সংসদের নিরাপত্তা লঙ্ঘন করতে সমর্থন হল, তা খুঁটিয়ে দেখা হবে। এসবের মধ্যে সংসদ হামলা প্রশ্নে রাজ্যকে একহাত নিলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ।
সংসদ হানার মাস্টারমাইন্ডের কলকাতা কানেকশন জোড়ালো। এবার তা নিয়েই সরকারকে তোর দাগলেন তিনি। দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, নাশকতার যোগ পাওয়া যাচ্ছে এই রাজ্যে। তিনি বলেন, ‘পশ্চিমবাংলায় বোম বন্দুক উগ্রপন্থী ক্রিয়াকলাপ এখান থেকে উৎসাহ নিয়ে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে, এমনকী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন এখান থেকে ট্রেনিং নিয়ে বাংলাদেশে উৎপাত করে। বারবার কেন পশ্চিমবাংলার দিকে আঙ্গুল ওঠে?’
তিনি আরও বলেন, ‘গ্যাংস্টার লুকিয়ে থাকে তার ইনফরমেশন থাকে না। এখনকার মানুষ তো ভগবানের ভরসায় বেঁচে আছেন! নিজেরা ঠিক করুন, কথায় কথায় কেন্দ্রের দিকে আঙুল তোলা! নিজের দায়িত্ব পালন করতে পারে না।’ এদিন সেই সঙ্গে গীতা পাঠ প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন দিলীপ ঘোষ। লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠে ধর্মীয় উস্কানি দেখছেন বিরোধীরা।
আর তাতেই বিজেপি নেতার বক্তব্য, ‘যারা ধর্মীয় উস্কানি দেখছেন তারা নিজেরাই চণ্ডী পাঠ শুরু করে দিয়েছেন। জিনিসটা তো খারাপ নয়, আপনারা করুন না! সবার করা উচিত, ভারতের সংস্কৃতির সঙ্গে গীতা যুক্ত। বিশ্বে গীতার প্রচার চলছে। মানুষের সমস্যা থেকে মুক্তি পাচ্ছেন গীতা পাঠ করে। কেউ যদি আয়োজন করেন তাহলে পূণ্য হচ্ছে।’