গত বার টানা ম্যাচ হেরে দিল্লি ক্যাপিটালস আইপিএলের প্লে-অফে ওঠার দৌড় থেকেই ছিটকে গিয়েছিল। এ বারে ডিরেক্টর অফ ক্রিকেট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বহু দিন আগে থেকেই ক্রিকেটার বাছতে শুরু করেছেন। কলকাতায় ক্যাম্পও করেছিলেন। সেখানে এসেছিলেন ঋষভ পন্থ। তবে পন্থ আইপিএল খেলবেন কি না সেটা এখনই জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না। ১৯ ডিসেম্বর আইপিএলের নিলাম। সেখানে কোন কোন ক্রিকেটারের জন্য টাকার থলি নিয়ে ঝাঁপাবে দিল্লি?
এ বারের নিলাম থেকে দিল্লি সর্বাধিক ন’জন ক্রিকেটার কিনতে পারবে। তার মধ্যে চার জন বিদেশি ক্রিকেটার হতে পারেন। দিল্লির হাতে রয়েছে ২৮ কোটি ৯৫ লক্ষ টাকা। নিলামের আগে সরফরাজ খান, মনীশ পাণ্ডে, রিলি রুসোর মতো ক্রিকেটারকে ছেড়ে দিয়েছে তারা। ফলে নিজেদের ব্যাটিং শক্তিশালী করতে চাইবে দিল্লি।
ড্যারিল মিচেল:এ বারের নিলামে বিরাট দর উঠতে পারে নিউ জ়িল্যান্ডের এই ক্রিকেটারের। ভারতের মাটিতে এক দিনের বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন মিচেল। তিনি যেমন আগ্রাসী ব্যাটার, তেমনই প্রয়োজনে বল করতে পারেন। দিল্লি এমন এক জন ক্রিকেটারকে নিয়ে মিডল অর্ডারের শক্তি বৃদ্ধি করতে চাইবে।
শ্রীকর ভরত: পন্থ সুস্থ না হলে দিল্লির এক জন উইকেটরক্ষক প্রয়োজন। দলে বাংলার অভিষেক পোড়েল রয়েছেন। কিন্তু তিনি অনভিজ্ঞ। সেই সঙ্গে গোটা আইপিএল এক জন উইকেটরক্ষক নিয়ে খেলার ঝুঁকি কোনও দলই নেবে না। তাই এক জন উইকেটরক্ষক নিতে পারে দিল্লি। নিলামে তাই ভরতকে নেওয়ার চেষ্টা করতে পারে দিল্লি।
প্যাট কামিন্স: বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ককে দলে পেলে একসঙ্গে দু’টি লক্ষ্যপূরণ হবে দিল্লির। পন্থ খেলতে না পারলে কামিন্সকে অধিনায়ক করতে পারবে দিল্লি। ভারতের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার দলকে বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন তিনি। এমন এক জন অধিনায়ককে অবশ্যই ভরসা করবেন কোচ রিকি পন্টিং। অস্ট্রেলীয় কোচ এবং অধিনায়কের জুটি হতেই পারে দিল্লিতে। সেই সঙ্গে কামিন্সের মতো এক জন অভিজ্ঞ পেসার দলে থাকলে বোলিং বিভাগও শক্তিশালী হবে।
শাহরুখ খান: ঘরোয়া ক্রিকেটে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে নজর কেড়েছিলেন তিনি। পঞ্জাব কিংসের হয়ে আইপিএলে খেলেছিলেন। তরুণ ব্যাটারের আইপিএল অভিষেক হয় ২০২১ সালে। গত আইপিএল যদিও ভাল যায়নি শাহরুখের। ১৪ ম্যাচে মাত্র ১৫৬ রান করতে পেরেছিলেন তিনি। তাই তাঁকে ছেড়ে দেয় পঞ্জাব। দিল্লি নিতে পারে শাহরুখকে। তিনি ফর্মে থাকলে দিল্লির ব্যাটিং নিয়ে চিন্তা কমে যাবে।
হ্যারি ব্রুক: ইংল্যান্ডের এই ব্যাটার আগের আইপিএলে শতরান করেছিলেন। যদিও সেই ইনিংস ছাড়া তেমন বড় কিছু করতে পারেননি। ইংল্যান্ডের হয়ে এক দিনের বিশ্বকাপে খেলেছিলেন ব্রুক। ফলে ভারতে খেলার অভিজ্ঞতা তাঁর আগের থেকে অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্রুককে দলে নিয়ে মিডল অর্ডারের শক্তি বৃদ্ধি করতে পারে দিল্লি।