ফের ললিতের কলকাতা কানেকসন। এবার দমদমে তৃতীয় বাড়ির খোঁজ। সংসদ হানার মাস্টারমাইন্ডের বর্তমান ডেরায় জি ২৪ ঘণ্টা। বাগুইআটি অঞ্চলের হেলাবটতলার পালপাড়াতে প্রায় তিন বছর ধরে বাবা-মা ভাইয়ের সঙ্গে ভাড়া থাকতেন ললিত। প্রতিবেশীদের দাবি, ১০ই ডিসেম্বর, ললিত এর বাবা-মা ও ভাই তাদের দেশ বিহারে চলে যায়। তবে ললিত কিন্তু পালপাড়ার এই বাড়িতেই ছিল।
বুধবার সংসদে স্মোক ক্যান কান্ডের অন্যতম মাস্টারমাইন্ড ললিত ঝা এর কলকাতা যোগ স্পষ্ট। প্রতিবেশীদের দাবি ললিত যাবার সময় তাদেরকে জানিয়ে গেছেন, কয়েকদিনের মধ্যেই সে ফিরে আসবে। পেশায় শিক্ষক ললিতকে স্থানীয় বাসিন্দারা সকলে ভালো ছেলে বলেই জানতো। ইতিমধ্যে ললিতের এই বাড়িতে পুলিস এসেছে এবং প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
পেশায় শিক্ষক ললিতকে স্থানীয় বাসিন্দারা সকলে ভালো ছেলে বলেই জানতো। ইতিমধ্যে ললিতের এই বাড়িতে পুলিস এসেছে এবং প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। শেষমেষ পুলিসের জালে সংসদ হানার মাস্টারমাইন্ড ললিত ঝা। ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পরে দিল্লির কর্তব্যপথ থানায় আত্মসমর্পণ। তারপরেই গ্রেফতার মূলচক্রী । এদিন পাটিয়ালা হাউজ কোর্টে পেশ করা হবে তাকে। সংসদ হানার পর রাজস্থানের নাগৌর হোটেলে গা ঢাকা দেয়। শাগরেদের মদতে ভিডিয়ো লোপাটের ছকও কষে। সবকটি মোবাইল পুড়িয়ে ফেলে ললিত। কবে থেকে প্ল্যান, মোটিভ কী?
আগেই ধৃত ৪ জনকে হেফাজতে নিয়ে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদে স্পেশাল সেল। পড়াশোনা করলেও চাকরি ছিল না সংসদ হানার মাস্টার মাইন্ডের। জি চব্বিশ ঘণ্টাকে ফোনে জানালেন ললিতের দাদা। কখনও প্রাইভেট টিউশন। কখনও সবজির ঠেলা লাগত ললিত। দাদা সন্তু ঝা বলেন, ‘ভাল ছেলে ছিল, কেন করলো জানি না। অত্যন্ত লজ্জাজনক ঘটনা। কে ওর মগজ ধোলাই করলো জানা নেই।’