কংগ্রেস সাংসদের বাড়ি থেকে বিপুল টাকা উদ্ধার, ইন্ডিয়া জোটকে আলিবাবা ৪০ চোরের জোট বললেন সুকান্ত

কংগ্রেস নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ ধীরজ শাহুর বাড়ি থেকে এখনো পর্যন্ত ৩৫৪ কোটি টাকার বেশি উদ্ধার করেছে আয়কর দপ্তর। টাকার অঙ্কটা এখনো বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এই বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার তথা দুর্নীতির প্রতিবাদে সংসদের বাইরে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন বিজেপির সাংসদরা। তাতে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সংসদ সুকান্ত মজুমদার। তাঁর সাথে ছিলেন সৌমিত্র খাঁ, দেবশ্রী চৌধুরীর মত বঙ্গ বিজেপির একাধিক সাংসদ। এই বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে ইন্ডিয়া জোটকে আলিবাবা ৪০ চোরের জোট বলে কটাক্ষ করেছেন সুকান্ত মজুমদার।

ধীরাজ শাহুর বাড়ি থেকে রেকর্ড পরিমাণ অর্থ উদ্ধারের পর থেকেই দেশের রাজনৈতিক মহল তোলপাড় হয়েছে। বিজেপি নেতারা কংগ্রেসকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলে তোপ দেগেছেন। নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা থেকে শুরু করে সব বিজেপি নেতাই এই ঘটনায় সরব হয়েছেন। লোকসভা নির্বাচনের আগে সর্বভারতীয় রাজনীতিতে এই ঘটনার যে প্রভাব ভালোই পড়বে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

এই বিতর্কের মধ্যেই আজ সংসদের বাইরে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন পদ্ম শিবিরের সাংসদরা। হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে স্লোগান তুলে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন তারা। সুকান্ত মজুমদারের সেই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এই বিক্ষোভ প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার ফেসবুকে লিখেছেন, “INDIA জোটের নামে যে প্রহসন চলছে। এটা আসলে আলিবাবা ৪০ চোরের জোট। কারণ এদের মধ্যে এখন প্রতিযোগিতা চলছে কে সবথেকে বড় চোর, সেটা প্রমাণ করবার। ভারতের জাতীয় জনতা পার্টির সরকার এই দুর্নীতি ও প্রহসনের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবে এবং একে একে সবকটি চোর জেলের ঘানি টানাবে।

বিক্ষোভ কর্মসূচি স্থলে দাঁড়িয়ে তাঁর দাবি, “না খাউঙ্গা না খানে দুঙ্গা”, নরেন্দ্র মোদীর এই স্লোগানকে তারা সর্বৈব স্বার্থক করবেন। তিনি বলেন, এই কয়েকদিনের মধ্যে ধীরাজ শাহুর বাড়ি থেকে যেভাবে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হচ্ছে, এটা প্রমাণ হয়ে গেছে যে ইন্ডিয়া জোট যে আছে সেই জোট চোরেদের জোট। সেটা কংগ্রেস হোক, কিংবা তৃণমূল কংগ্রেস। এদেরকে নরেন্দ্র মোদী, যিনি ভারতবর্ষের চৌকিদার ধরে ধরে জেলে ঢোকাবেন।” তিনি বলেন, কংগ্রেসের সাংসদ ধীরজ শাহুর বাড়ি থেকে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে, ঠিক একইভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবীর বাড়ি থেকেও ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গে যা পাওয়া গেছে তা হিমশৈলের চূড়া মাত্র। আগামী দিনে তদন্ত হলে আরো কোটি কোটি টাকা পাওয়া যাবে। না খাব না খেতে দেব, নরেন্দ্র মোদীর এই মন্ত্র ধরে আমাদের সরকার এগিয়ে যাবে ও চোরেদের জেলে ভরা হবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.