ডারবানে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ের প্রথম ম্যাচ ভেস্তে গেল বৃষ্টিতে। একেবারেই জোরে বৃষ্টি পড়েনি। হাল্কা বৃষ্টির ফলে মাঠের পিচ ও তার চারপাশ ঢেকে দেওয়া হয়। কিন্তু বৃষ্টি থামলেও যে সময় মতো ম্যাচ শুরু করা যাবে, সে বিষয়ে নিশ্চয়তা দিতে পারেননি কিংসমিডের পিচ প্রস্তুতকারক। তাই ম্যাচ ভেস্তে যায়।
দক্ষিণ আফ্রিকায় মাঠের আচ্ছাদন দেখে ক্ষুব্ধ কিংবদন্তি সুনীল গাওস্কর। তিনি মনে করেন, মাঠের প্রত্যেক কোণ একেবারে আচ্ছাদন দিয়ে ঢেকে ফেলা উচিত বৃষ্টির সময়। যাতে বৃষ্টি বন্ধ হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে ম্যাচ শুরু করা যায়।
গাওস্কর বলছিলেন, ‘‘শুধুমাত্র কেন পিচ ও তার চারপাশটা ঢাকা হবে? আচ্ছাদন দিয়ে সারা মাঠ ঢেকে দিলেই হয়। বৃষ্টি থামার কয়েক মিনিটের মধ্যে তা হলে ম্যাচ শুরু করে দেওয়া যায়।’’ যোগ করেন, ‘‘ইডেন গার্ডেন্সে দেখবেন, ওরা কিন্তু আচ্ছাদন দিয়ে সারা মাঠ ঢেকে দেয়। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় সিএবি প্রেসিডেন্ট থাকাকালীনই এই ব্যবস্থা করে গিয়েছে। বৃষ্টিতে তাই কখনও সমস্যা হয় না। ইডেনকে দেখে ভারতের বাকি মাঠগুলোও বৃষ্টির সময় আচ্ছাদন দিয়ে সারা মাঠ ঢেকে দেয়। ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকায় যা দেখতে পাই না।’’
প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ভেস্তে যাওয়ায় বিদেশের মাঠে সূর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বে ভারতের তরুণ প্রজন্মকে পরীক্ষা করে দেখা গেল না। তবুও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ে সূর্যকুমারের নেতৃত্বের ভঙ্গিতে খুশিই হয়েছেন সানি। তিনি বলছিলেন, ‘‘সূর্যকুমার এই দলটার মধ্যে নতুন চিন্তাভাবনা এনেছে। ওর নেতৃত্বের ধরনটা আলাদা। সকলকে স্বাধীনতা দেয়। বোলারের উপরে চাপ সৃষ্টি করে না। আরশদীপ সিংহ যে ভাবে বেঙ্গালুরুতে শেষ ওভারে ম্যাচ জিতিয়েছিল, তাতে সূর্যকুমারের কৃতিত্ব অবশ্যই আছে। সূর্যকুমারই ওকে বলেছিল ম্যাচ জেতানোর দরকার নেই। তুই নিজের সেরাটা দে। তার পরেই আরশদীপ ম্যাচ জেতানোর ওভারটি করে।’’
সানি আরও যোগ করেন, ‘‘ব্যাটিংয়ের দিক থেকে এই ফর্ম্যাটে ওর তুলনাই হয় না। একার হাতে একটি ম্যাচ শেষ করে দেওয়ার ক্ষমতা আছে ওর মধ্যে। সূর্যকুমার অপূর্ব টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার। অধিনায়ক হয়েছে। এখন আগের চেয়েও বেশি দায়িত্ব সামলাবে। আরও পরিণত হয়ে উঠবে।’’
প্রাক্তন ভারতীয় ব্যাটসম্যান সঞ্জয় মঞ্জরেকরও মুগ্ধ সূর্যকুমারের নেতৃত্বে। বলছিলেন, ‘‘ও যতই আগ্রাসী ব্যাটসম্যান হোক, মানুষ হিসেবে কিন্তু একেবারে শান্ত। খুব ঠান্ডা মাথা। তাই অধিনায়ক হিসেবে শুরুটা ভাল করেছে।’’
তিনি যোগ করেন, ‘‘মুম্বইকে দীর্ঘদিন নেতৃত্ব দিয়েছে ঘরোয়া ক্রিকেটে। এত দিনের অভিজ্ঞতা এ বার ভারতীয় দলের হয়ে কাজে লাগাচ্ছে। অবাক হব না যদি সূর্যকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অধিনায়কও করে দেওয়া হবে। তবে রোহিত শর্মা খেললে তাকেই নেতৃত্বের দায়িত্ব দেওয়া উচিত। এ বারের বিশ্বকাপে অসাধারণ অধিনায়কত্ব করেছে। ফাইনালটা ছেড়ে দিলে বাকি ১০টি ম্যাচে ওর নেতৃত্বে কোনও
খুঁত খুঁজে পাইনি।’’