ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে পুরনো এবং পরীক্ষিত মুখ নয়, নতুন মুখেই আস্থা রাখল বিজেপি। ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাইকে বেছে নিতে নিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
ওই সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে থাকলেও মূলত বয়সের কারণে এবং রাজনৈতিক ভারসাম্যের অভাবে পিছিয়ে পড়তে হয়েছে ছত্তীসগঢ়ের তিন বারের মুখ্যমন্ত্রী রমন সিংহকে। বিষ্ণুর নাম চূড়ান্ত হওয়ার পরে স্পষ্ট যে, আদিবাসী অধ্যুষিত এই রাজ্যে প্রথম বারের জন্য কোনও আদিবাসী মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসবেন।
নির্বাচনী ফলাফল বিশ্লেষণেও দেখা গিয়েছে, ছত্তীসগঢ়ের তফসিলি জাতি এবং তফসিলি জনজাতিদের সিংহভাগ ভোট এ বার বিজেপির অনুকূলে গিয়েছে। অথচ ২০১৮ সালের বিধানসভা ভোটে এই ভোটই গিয়েছিল কংগ্রেসের ঝুলিতে। মনে করা হচ্ছে, লোকসভা ভোটের আগে আদিবাসী ভোটব্যাঙ্ক অক্ষুণ্ণ রাখতেই বিষ্ণুকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বেছে নিল পদ্মশিবির। রবিবার রায়পুরে দলের নবনির্বাচিত ৫৪ জন বিধায়ককে নিয়ে বৈঠকে বসেন পর্যবেক্ষকেরা। সেই বৈঠকেই বিষ্ণুর নামে সম্মতি জানান অধিকাংশ বিধায়ক।
বিষ্ণু ছত্তীসগঢ়ের রায়গড় লোকসভা কেন্দ্রের চার বারের সাংসদ। ১৯৯৯ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত এক টানা ২০ বছর সাংসদ ছিলেন তিনি। ২০১৪ সালে কেন্দ্রে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পরে প্রথম মোদী মন্ত্রিসভায় ইস্পাত প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলান তিনি। ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ছিলেন ছত্তীসগঢ়ের বিজেপি সভাপতি। এ বারের বিধানসভা নির্বাচনে কুঁকুড়ি বিধানসভা আসন থেকে জয়ী হন তিনি। ১৯৯০ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত দু’দফায় বিধায়ক হিসাবেও নির্বাচিত হন বিষ্ণু।
বিজেপি সূত্রের খবর, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের ‘সুনজরে’ থাকা বিষ্ণু রাজ্য রাজনীতিতে রমন সিংহের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। বিষ্ণুর কেন্দ্রে প্রচারে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, বিজেপি ক্ষমতায় ফিরলে বিষ্ণুকে বড় দায়িত্ব দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বিষ্ণুর নাম চূড়ান্ত হতেই তাঁকে এক্স (সাবেক টুইটার) মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, ছত্তীসগঢ়ের সদ্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বঘেল।