পায়ে হেঁটে ভারত যাত্রা। সঙ্গে একান্নপীঠ দর্শন। মনের সেই ইচ্ছা পূরনের উদ্দ্যেশ্যেই মাইলের পর মাইল পায়ে হেঁটে একের পর এক সতীপীঠে পৌঁছচ্ছেন মধ্যপ্রদেশের ভোপালের বাসিন্দা ষাটোর্দ্ধ দুর্গা প্রসাদ লবাঞ্চি।
২০২৩ সালের ১০ মার্চ ভোপালের বাড়ি থেকে একাই পায়ে হেঁটে বেড়িয়ে পড়েন তিনি। ইচ্ছে সতীর একান্ন পীঠ দর্শন। তবে শুধু সতীর একান্ন পীঠে গন্থব্য পথে কোনো প্রসিদ্ধ মন্দির পড়লে সেখানেও সটান পৌঁছে যাচ্ছেন তিনি। ইতিমধ্যেই মথুরা, হরিয়ানা পঞ্জাব, অমরনাথ, বৈষ্ণদেবী, লেহ, লাদাখ, নেপাল, বিহার ও ঝাড়খন্ড হয়ে তিনি পশ্চিমবঙ্গে পৌঁছেছেন। শুক্রবার তারাপীঠ মন্দির যাওয়ার পথে বীরভূমের রামপুরহাটের রাস্তা দিয়ে পদব্রজে দেখা মিলল দুর্গাপ্রসাদ লবাঞ্চির। ১৯ মার্চ থেকে একটানা ন’মাস ধরে হেঁটে চলেছেন তিনি। তার মনের এই ইচ্ছা পূরন করতে আরো ছ’মাস হাঁটবেন তিনি। দিনে প্রায় ৩০-৩৫ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেন। চা আর হালকা জলখাবার ছাড়া দিনে আর কিছু মুখে তোলেন না। রাতে যে কোনো মন্দিরে আশ্রয় নিয়ে রাতের খাওয়া সেরে নিয়ে ফের পরদিন সকালে বেড়িয়ে পড়েন পরবর্তী গন্তব্যের উদ্দেশ্যে।
তিনি বলেন, “এখনও পর্যন্ত অর্ধেক ভারত ভ্রমণ করেছি। এখন বৈদনাথ ধাম হয়ে দুমকা রোড ধরে তারাপীঠে এসেছি। মোবাইলের মাধ্যমে পথের ঠিকানা খুঁজে গন্তব্যের লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছি। সব ঠিকঠাক থাকলে নির্দিষ্ট সময়ে আমি ৫১ সতিপীঠ দর্শন করে বাড়ি ফিরতে পারব”।