আসন্ন দিল্লি সফরেই মোদি-মমতা বৈঠকের সম্ভাবনা, কাটবে বকেয়া জট?

মুখ্যমন্ত্রীর আসন্ন দিল্লি সফরেই কি কাটবে বঞ্চনা জট? চলতি মাসে দ্বিতীয় বা তৃতীয় সপ্তাহেই দিল্লি যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee), INDIA জোটের বৈঠকে যোগ দিতে। সূত্রের খবর, সেসময়ই তিনি প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় চাইতে পারেন। প্রধানমন্ত্রীর সময় মিললে দুজনের বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা। এবং সেখানেই ফের কেন্দ্রের থেকে রাজ্যের প্রাপ্য বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার আবেদন জানাবেন মুখ্যমন্ত্রী। কবে শ্রমিকদের নিজেদের হকের পারিশ্রমিক পাবেন, তাও জানতে চাইতে পারেন। এই সম্ভাবনার উসকে ওঠার পরই রাজনৈতিক মহলে কৌতূহল তুঙ্গে, তবে কি এবারই বকেয়া জট কাটবে?

তিন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবির পর গত ৬ তারিখ, বুধবার বিরোধী INDIA জোটের বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছিল কংগ্রেসের তরফে। কিন্তু সমন্বয়ের অভাবে বৈঠক বাতিল হয়। সেই বৈঠকে বিরোধীদের বেশ কয়েকজন শরিক যেতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেন। পরবর্তী সময়ে সকলের সঙ্গে কথা বলে, দিনক্ষণ স্থির করা হবে বলে জানান শরিক নেতৃত্ব। সেই বৈঠক হতে পারে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় বা তৃতীয় সপ্তাহে। ওই সময় বৈঠক হলে তৃণমূলের তরফে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাবেন বলে সূত্রের খবর। সেসময়ই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা।

মঙ্গলবার সংসদে অধিবেশন চলাকালীন আলাদা করে তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিং। মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জনা জ্যোতি যেখানে কড়া সুরে তৃণমূলের সাংসদদের সমালোচনা করছেন, সেখানে সুর অনেকটাই নরম ছিল খোদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, গিরিরাজই তাঁকে প্রস্তাব দিয়েছেন যাতে বকেয়া ইস্যুতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) মুখোমুখি বৈঠকের বন্দোবস্ত করা যায়। যদিও পরে গিরিরাজ সিং সেই প্রস্তাবের কথা অস্বীকার করেছেন। আর মুখ্যমন্ত্রী সেকথা শুনে জানিয়েছিলেন, তিনি আগেও অনেকবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেও সুরাহা হয়নি। তবে কি তিনি ফের বৈঠকে বসতে আগ্রহী নন? এই প্রশ্নও ওঠে।

তবে প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকই সমাধান সূত্র বের করতে পারবে, তা মনে করে বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশ। সেই কারণেই মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লি সফরে বৈঠকের বন্দোবস্ত করতে তৎপর শীর্ষ নেতৃত্ব। এখন সবটাই নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রীর সময়ের উপর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.