তিন রাজ্যে বিজেপির জয়কে ঐতিহাসিক বলেই দাবি করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর দাবি, এই মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে টক্কর দেওয়ার মতো কেউ নেই সেটা প্রমাণ হয়ে গেল। আজ দিল্লি যাওয়ার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই দাবি করেছেন বিজেপি নেতা।
আজ বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “ঐতিহাসিক ফলাফল হয়েছে, দেশের মানুষ আরো একবার প্রমাণ করে দিল ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সমকক্ষ, বা তাকে কম্পিটিশন দেওয়ার মতো কেউ নেই এই মুহূর্তে।” এই জয়ের পর লোকসভা নির্বাচন নিয়ে আত্মবিশ্বাসের সুর শোনা গেছে তাঁর গলায়। তাঁর কথায় এই ফলাফল রাজ্য বিজেপিকে বিপুল অক্সিজেন দিয়েছে। গত ২৯ নভেম্বর অমিত শাহ প্রথম দাওয়াই দিয়ে গিয়েছিলেন। তারপর দ্বিতীয় দাওয়াই পেয়েছে বিজেপি। এই নিয়েই বিজেপি এবার লোকসভার প্রস্তুতির জন্য মাঠে নামবে। বিজেপির বিশ্বাস ২৪- এও দারুন ফলাফল হবে।
মোদীর নেতৃত্বে এই তিন রাজ্যের জয় প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, বিরোধীরা যত অপপ্রচার ও নরেন্দ্র মোদীকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করবেন তত নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিজেপি রাজনৈতিক মানচিত্রে শক্তিশালী হবে।
এ রাজ্যগুলির পাশাপাশি সার্বিকভাবে লোকসভায় আরো ভালো ফল হবে। এমনকি শতাংশের নিরিখে কংগ্রেস যত আসন জিতেছে তার থেকে অনেক বেশি আসনে লোকসভায় বিজেপি জিতবে বলে দাবি বিজেপির রাজ্য সভাপতির।
বছরের শেষে তিন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে ক্ষমতা দখল করেছে বিজেপি। এর মধ্যে আবার আজ থেকে যেমন শুরু হয়েছে শীতকালীন অধিবেশন। অন্যদিকে আজও উত্তরবঙ্গ সফরে তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার উত্তরবঙ্গ সফর সম্পর্কেও কটাক্ষ করেছেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেছেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সারা দেশেই যাওয়া উচিত। না হলে উনি কূপমন্ডুক হয়ে থেকে যাবেন।”
তিনি আরো বলেন, এ রাজ্যের তুলনায় অন্য রাজ্যের নাগরিকরা সুযোগ সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক বেশি এগিয়ে রয়েছেন। উদাহরণ দিয়ে বলেন, এই রাজ্যে এইডসে আক্রান্ত রোগীদের বারোশো টাকা করে পাওয়ার কথা, কিন্তু বিগত বেশ কয়েক মাস তা বন্ধ রয়েছে। অথচ গুজরাট সরকার এই রোগীদের প্রতি মাসে ১৫০০ টাকা দেয়।
এদিন বিরোধীদের জোট ইন্ডিয়া’কেও কটাক্ষ করেছেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, ইন্ডিয়া জোটের না অতীত ছিল, না বর্তমান আছে, না ভবিষ্যৎ। তাই ওদের নিয়ে মাথা ঘামাবার দরকার নেই।