তেলঙ্গানা রাজ্য তৈরির পর থেকে মুখ্যমন্ত্রীর গদিতে ছিলেন কে চন্দ্রশখর রাও। রাজ্যে যেখানে ক্ষমতায় চলে এসেছে সেখানে কেসিআরকে হারাতে পারেনি কংগ্রেসের কেউ। বরং তাঁকে হারিয়েছেন বিজেপির কে ভি রামানা রেড্ডি। কেসিআরের সঙ্গে লড়াইয়ে ছিলেন রাজ্য কংগ্রেসের প্রধান রেবনাথ রেড্ডিও। তেলঙ্গানার পিতা বলে পরিচিত কেসিআরকে হারিয়েছেন পেশায় ব্যবসায়ী এই জায়ান্ট কিলার। একদিকে তিনি যেমন ধাক্কা দিয়েছেন কংগ্রেসকে এবং অন্যদিকে হারিয়েছেন খোদ বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রীকে।
কে এই কে ভি রামানা রেড্ডি? কোনও কোনও মহলের মতে কংগ্রেস ও বিআরএসের ভোট কাটাকাটিতেই বেরিয়ে গিয়েছেন কে ভি রামানা রেড্ডি। তবে কামারেড্ডি আসনে রামানার প্রভাব অস্বীকার করার আর কোনও জায়গা নেই। প্রথাগত শিক্ষায় খুব বেশি এগোতে না পারলেও ব্যবসায় সফল রামানা। নির্বাচন কমিশনের কাছে তিনি যে তার সম্পত্তির হিসেব দিয়েছেন তাতে তার সম্পত্তির পরিমাণ ৪৯.৭ কোটি টাকা। এর মধ্য স্থাবর সম্পত্তি ২.২ কোটি টাকার এবং অস্থাবর সম্পত্তি ৪৭.৫ কোটি টাকার। আয়ের যে হিসেব রামানা দিয়েছেন তা হল ৯.৮ লাখ টাকা। রামানার বিরুদ্ধে ১১টি ফৌজদারি মামলাও রয়েছে।
উল্লেখ্য, কামারেড্ডি হল রাজ্যের উত্তরের একটি আসন। অধিকাংশ ভোটারই জেনারেল ক্যাটিগরির। সিডিউল কাস্ট ও সিডিউল ট্রাইব মিলিয়ে ভোটারদের হার ১৮ শতাংশের কাছাকাছি। তবে রাজ্য রাজনীতির খবর হলে রামানা ভোটে পেয়েছেন অধিকাংশ জেনারেল কাস্টের মানুষের।
রাজ্যে আপাতত ৯ আসনে জয়ী হয়েছে বিজেপি। ফলে বলা যেতে পারে গেরুয়া শিবিরের মিশন সাউথের ক্ষেত্রে খানিকটা এগিয়ে গেল। কর্ণাটকে একসময় ক্ষমতায় ছিল বিজেপি। সেখান থেকে সরে গিয়েছে গেরুয়া শিবির। ফলে তেলঙ্গানার ফলে অল্প হলেও স্বস্তি দিতে পারে বিজেপিকে।