চার রাজ্যের মধ্যে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তীসগঢ়ে কার্যত কংগ্রেস-বিজেপির মুখোমুখি লড়াই। তার মধ্যে মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থানে শুরু থেকেই এগিয়ে ছিল বিজেপি। ছত্তীসগঢ়ে বিজেপি এবং কংগ্রেসের মধ্যে এক সময় জোর টক্কর চললেও ক্রমে ব্যবধান বাড়িয়ে নিয়েছে বিজেপি। অন্য দিকে, তেলঙ্গানায় শাসকদল বিআরএসকে পিছনে ফেলে কংগ্রেস এগিয়ে গিয়েছে। তিন রাজ্যে হতে পারে পালাবাদল।
শুধু মূল বিষয়গুলি
শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ১২:০০
বিজেপিকে টেক্কা নির্দল প্রার্থীর
রাজস্থানে গেরুয়া ঝড়ের বিপরীতে অন্য ছবি। শেয়ো বিধানসভা কেন্দ্রে প্রায় সাত হাজার ভোটে এগিয়ে আছেন নির্দল প্রার্থী রবীন্দ্র সিংহ ভাতি। তিনি আগে বিজেপিতে ছিলেন। কিন্তু এ বারের ভোটে টিকিট না পেয়ে নির্দল হিসাবে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নেন।
শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ১১:৪৯
‘ইন্ডিয়া’র বৈঠক চায় কংগ্রেস
চার রাজ্যে বিধানসভা ভোটের ফলাফলের আবহে বিজেপি বিরোধী মহাজোট ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠক ডাকতে চেয়েছে কংগ্রেস। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, আগামী ৬ ডিসেম্বর বিরোধী নেতৃত্বকে নিয়ে দিল্লিতে বৈঠকে বসতে আগ্রহী কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে। বৈঠকের কথা জানিয়ে বিরোধী নেতৃত্বকে ফোন করাও শুরু করেছেন তিনি।
শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ১১:১১
ছত্তীসগঢ়ে এগিয়ে গেল বিজেপি
বিজেপি এগিয়ে গেল ছত্তীসগঢ়ে। প্রথম থেকে কংগ্রেস এগিয়ে থাকলেও বেলা গড়াতেই পরিসংখ্যান বদলাতে শুরু করে। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শুরু হয় কংগ্রেস এবং বিজেপির মধ্যে। বেলা ১১টা পর্যন্ত ছত্তীসগঢ়ে বিজেপি এগিয়ে ৫০টি আসনে। কংগ্রেস এগিয়ে ৩৯টি আসনে। একটি আসনে এগিয়ে অন্য়ান্য।
শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ১০:৫৫
ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনার ৩৯ বছরে শিবরাজ
আজও ১৯৮৪ সালের ২ আর ৩ ডিসেম্বরের ঘটনা মনে পড়লে আমরা কেঁপে উঠি। গ্যাস দুর্ঘটনায় হাজার হাজার ভাইবোনকে হারিয়েছি। প্রাণ বাঁচাতে রাস্তায় পাগলের মতো ছুটছিলেন মানুষ। দৌড়তে দৌড়তে পড়ে যাচ্ছিলেন। ভোপালের ওই ভয়ানক দৃশ্য ভোলার নয়। সকলকে আমার প্রণাম, শ্রদ্ধা জানাই। সেই সঙ্গে আমাদের সংকল্প, আর কোনও শহর ভোপাল হয়ে উঠবে না। এমন গ্যাস দুর্ঘটনা সারা পৃথিবীতে আর যেন কখনও না হয়। প্রকৃতি নিয়ে আমরা এমন ভাবে আর কখনও খেলব না। এর জন্য উন্নয়ন আর প্রকৃতির মধ্যে ভারসাম্য রাখতে হবে। উন্নয়ন যেন প্রাণঘাতী না হয়ে ওঠে। এই পৃথিবী সকলের জন্য। আগামী প্রজন্মের জন্য এই পৃথিবীকে আমরা সুন্দর করে তুলব।
শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ১০:৪০
ছত্তীসগঢ়ে জোর টক্কর কংগ্রেস, বিজেপির
কংগ্রেস এবং বিজেপির জোর টক্কর চলছে ছত্তীসগঢ়ে। ভোটগণনার শুরু থেকে কংগ্রেস এগিয়ে থাকলেও ক্রমে লড়াই হাড্ডাহাড্ডি হয়ে উঠেছে। মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এবং তেলঙ্গানার ‘ট্রেন্ড’ দেখে সেখানকার ফলাফলের একটা ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। তবে ছত্তীসগঢ়ে কী হতে চলেছে, বোঝা যাচ্ছে না। পরিসংখ্যান বার বার ওঠানামা করছে। বড় সংখ্যক আসনে দুই দলের ব্যবধান সামান্য।
শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৯:৫৫
ছত্তীসগঢ়ে কংগ্রেস এগিয়ে
ছত্তীসগঢ়ে প্রথম থেকেই বিজেপিকে অনেকটা পিছনে ফেলে দিয়েছে কংগ্রেস। তারা ৯০টির মধ্যে ৫৮টি আসনে এগিয়ে আছে। বিজেপি এগিয়ে ৩২টি আসনে।
শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৯:৫১
রাজস্থানে জাদুসংখ্যা ছুঁতে চলেছে বিজেপি
রাজস্থানে ভোটগণনার শুরু থেকেই ক্ষমতাসীন কংগ্রেস পিছিয়ে। এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। ওই রাজ্যে সরকার গঠনের জন্য ১০১টি আসন দরকার। বিজেপি ১০০টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। কংগ্রেস এগিয়ে ৮৩টি আসনে।
শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৯:৪৯
মধ্যপ্রদেশে জাদুসংখ্যা ছাপিয়ে বিজেপি
মধ্যপ্রদেশে জাদুসংখ্যা ছাপিয়ে গিয়েছে বিজেপি। সরকার গড়ার জন্য সেখানে ১১৬টি আসন দরকার। গণনা শুরুর পর প্রায় দু’ঘণ্টা অতিক্রান্ত। বিজেপি এগিয়ে আছে ১২৮টি আসনে। কংগ্রেস এগিয়ে ৯৯টি আসনে।
শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৯:২৮
সরকার গড়ার জন্য কোথায় ক’টি আসন দরকার
মধ্যপ্রদেশের বিধানসভায় মোট আসনের সংখ্যা ২৩০। তার মধ্যে সরকার গড়ার জন্য অন্তত ১১৬টি আসনে জয় দরকার। এ ছাড়া, তেলঙ্গানার ১১৯টি আসনের মধ্যে ৯০টি, রাজস্থানে ২০০টি আসনের মধ্যে ১০১টি এবং ছত্তীসগঢ়ে ৯০টি আসনের মধ্যে ৪৬টি আসনে জয় দরকার। তবেই সরকার গঠন করা যাবে।
শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৯:১৭
তেলঙ্গানায় বাড়ছে ব্যবধান
তেলঙ্গানায় ব্যবধান বাড়িয়ে চলেছে কংগ্রেস। ভোটগণনা শুরুর ঘণ্টাখানেক পর সেখানে ক্ষমতাসীন দল বিআরএস এগিয়ে ৩৭টি আসনে। কংগ্রেস টপকে গিয়েছে জাদুসংখ্যা ৬০-এর গণ্ডি। এ ছাড়া বিজেপি ৯ এবং অন্যান্যেরা ৪টি আসনে এগিয়ে আছে।
শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৮:৩৭
রাজস্থানে এগিয়ে বিজেপি
রাজস্থানে পোস্টাল ব্যালটের গণনার শুরুতে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে বিজেপি। তারা আপাতত ৬০টি কেন্দ্রে এগিয়ে আছে। কংগ্রেস এগিয়ে ২৪টি আসনে। প্রতি মুহূর্তে ব্যবধান বদলাচ্ছে। মধ্যপ্রদেশেও বিজেপি এগিয়ে। বাকি দুই রাজ্যে কংগ্রেস এগিয়ে রয়েছে।
শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৮:৩৪
চার রাজ্যের উল্লেখযোগ্য প্রার্থী
চার রাজ্যের উল্লেখযোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে আছেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান। ভোটগণনা শুরুর প্রথম আধঘণ্টায় তিনি নিজের কেন্দ্রে এগিয়ে আছেন। এগিয়ে আছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতও। কিন্তু ছত্তীসগঢ়ে ভূপেশ বঘেল শুরুতেই পিছিয়ে পড়েছেন। তেলঙ্গানায় কে চন্দ্রশেখর রাও একটি কেন্দ্রে এগিয়ে আছেন।
শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৮:১১
শুরু হল ভোটগণনা
মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, তেলঙ্গানা এবং রাজস্থানে ভোটগণনা শুরু হয়ে গিয়েছে সকাল ৮টা থেকে। এখন পোস্টাল ব্যালটের গণনা চলছে। এর পর বাকি ভোটের গণনা শুরু হবে।
শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৭:৫৬
তেলঙ্গানায় স্ট্রংরুমে গোলমাল
তেলঙ্গানার ইব্রাহিমপত্তনমের একটি স্ট্রংরুমে ভোটগণনা শুরুর আগে উত্তেজনা। কংগ্রেসের অভিযোগ, ঠিক সময়ে সেখানে পোস্টাল ব্যালট বাক্সই পৌঁছয়নি। কংগ্রেস কর্মীরা রাজস্ব বিভাগের সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের দফতরে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। বিক্ষোভের মুখে ব্যাল্ট বাক্স স্ট্রংরুমে আনা হয়। কিন্তু অভিযোগ, তা ঠিক ভাবে সিল করা ছিল না। ফলে কংগ্রেসের তরফে বিক্ষোভ আরও জোরদার হয়।
শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৭:৩৫
স্ট্রংরুমে ‘কারচুপি’!
ভোটগণনা শুরুর আগেই মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের বড় অভিযোগ। উজ্জয়িনীর একটি স্ট্রংরুমে’ পোস্টাল ব্যালট বাক্সে কারচুপি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। তারানা বিধানসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস বিধায়ক মহেশ পারমারের দাবি, একটি ব্যালট বাক্সের সিল ভাঙা অবস্থায় দেখতে পান তিনি। বাক্সে যে সিল রয়েছে, তা নতুন করে লাগানো হয়েছে বলেও দাবি কংগ্রেস বিধায়কের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাপ ছড়িয়েছে।
শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ০০:২১
তেলঙ্গানা কি কংগ্রেসের দখলে?
দক্ষিণ ভারতের রাজ্যে তেলঙ্গানায় কংগ্রেস এ বার ক্ষমতাসীন ভারত রাষ্ট্র সমিতি (বিআরএস)-র সঙ্গে সমানে সমানে টেক্কা দিতে পারে বলে কয়েকটি বুথ ফেরত সমীক্ষার ইঙ্গিত। গত এক দশকের মুখ্যমন্ত্রী কলভাকুন্তলা চন্দ্রশেখর রাওয়ের (কেসিআর নামেই যিনি সমধিক পরিচিত) দল হায়দরাবাদের কুর্সি দখলের হ্যাটট্রিক করতে পারবে না বলে টুডেজ চাণক্যের দাবি। তাদের পূর্বাভাস, দুই-তৃতীয়াংশ গরিষ্ঠতা পেতে পারে রাহুল গান্ধী-মল্লিকার্জুন খড়্গের দল। অন্য দিকে, গত লোকসভা ভোটে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা বিজেপি আবার নেমে যেতে পারে তিন নম্বরে। টিভি৯ ভারতবর্ষ-জন কি বাত অবশ্য পূর্বাভাস দিয়েছে, ৪৯-৫৯, বিআরএস ৪৮-৫৮, বিজেপি ৫-১০ এবং নির্দল ও অন্যেরা ৬-৮টি আসনে জিততে পারে। ভোট পণ্ডিতদের একাংশ মনে করছেন, কোনও দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে ‘নির্ণায়ক’ হয়ে উঠতে পারে বিজেপি এবং ‘অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন’ (মিম)-এর প্রধান তথা হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসির ‘ভূমিকা’। সে ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রিত্বের দৌড়ে এগিয়ে থাকবেন কেসিআর। মিম প্রধান আসাদউদ্দিন আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, যেখানে তাঁদের প্রার্থী নেই সেখানে বিআরএস প্রার্থীদের সমর্থন করা হবে। তাঁর দল পুরনো হায়দরাবাদ এলাকায় ৬-৭টি আসনে জিততে পারে বলে পূর্বাভাস।
শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ০০:১৯
গত ভোটে তেলঙ্গানার ফল
২০১৮-র বিধানসভা ভোটে মুখ্যমন্ত্রী কেসিআরের দল তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি বা টিআরএস ৮৮টি আসনে জিতে নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা পেয়েছিল। এ বার সেই দলের নাম বদলে হয়েছে ভারত রাষ্ট্র সমিতি (বিআরএস)। এ ছাড়া কংগ্রেস ১৯ এবং তার সহযোগী টিডিপি দু’টি আসনে জিতেছিল। ওয়েইসির মিম ৭, বিজেপি ১ এবং অন্যেরা জিতেছিল ৪টিতে। টিআরএস প্রায় ৪৭, কংগ্রেস ২৮, টিডিপি সাড়ে ৩ এবং বিজেপি প্রায় ৭ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। দক্ষিণ তেলঙ্গানার মেহবুবনগর, নলগোন্ডা এবং নগরকুর্নুলের মতো জেলাগুলিতে টিআরএসের সঙ্গে কিছুটা টক্কর দিলেও রাজধানী হায়দরাবাদ এবং মধ্য ও উত্তর তেলঙ্গানায় মুখ থুবড়ে পড়েছিল কংগ্রেস-টিডিপি-সিপিআই-তেলঙ্গানা জন সমিতির জোট ‘মহাকুটুমি’। এ বার তেলঙ্গানার ভোটে টিডিপি লড়ছে না। চন্দ্রবাবু জাতীয় স্তরেও কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়েছেন।
শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ০০:১৫
বুথফেরত সমীক্ষায় এগিয়ে কংগ্রেস
২০১৮ সালের বিধানসভা ভোটে ছত্তীসগঢ়ে কংগ্রেস একতরফা জয় পেলেও এ বার সেখানে বিজেপি অনেকটাই লড়াইয়ে ফিরতে পারে বলে ইঙ্গিত বুথফেরত সমীক্ষায়। এমনকি, এবিপি নিউজ-সি ভোটার এবং ইন্ডিয়া টু়ডে-অ্যাক্সিস মাই ইন্ডিয়ার মতো কয়েকটি সমীক্ষার ইঙ্গিত, ফল ভাল হলে সে রাজ্যের ৯০টি আসনের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জাদু সংখ্যা ৪৬ ছুঁয়ে ফেলতে পারে বিজেপি। এ বার প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা প্রভাবশালী আদিবাসী নেতা অরবিন্দ নেতম কংগ্রেস ছেড়ে নতুন দল ‘হামার রাজ পার্টি’ গড়ে জনজাতি প্রভাবিত অধিকাংশ আসনে প্রার্থী দেওয়ায় সুবিধা পেতে পারে বিজেপি। তা ছাড়া, মূলত আদিবাসী খ্রিস্টানদের সংগঠন সর্ব আদি দল এই প্রথম বার ভোটে লড়তে নামায় বস্তার অঞ্চলে বিড়ম্বনা বাড়তে পারে মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বঘেলের দলের। এ ছাড়া জেসিসি-বিএসপির জোট অনগ্রসর (ওবিসি) ও দলিত ভোট কেটে কংগ্রেসের বিড়ম্বনা বাড়াতে পারে বলে বুথফেরত সমীক্ষার ইঙ্গিত। ২০১৮ সালে ছত্তীসগঢ়ে কংগ্রেস ৪৩ এবং বিজেপি ৩৩ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। এ বার সেই ১০ শতাংশের ব্যবধান অর্ধেকের নীচে নেমে আসতে পারে বলে প্রায় সবক’টি বুথফেরত সমীক্ষাতেই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। টুডেজ চাণক্যের হিসাবে কংগ্রেস ৪৫, বিজেপি ৪০ এবং অন্যেরা ১৫ শতাংশ ভোট পেতে পারে।
শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ০০:১২
গত ভোটে ছত্তীসগঢ়ের ফল
২০১৮ সালের বিধানসভা ভোটে দেড় দশকের বিজেপি শাসনের ইতি ঘটিয়ে প্রথম বার বিধানসভা ভোটে জিতে ছত্তীসগঢ়ে ক্ষমতা দখল করেছিল কংগ্রেস। রাজ্যের ৯০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ৬৮টি জিতেছিল তারা। বিজেপি মাত্র ১৫টি। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অজিত জোগীর দল ‘জনতা কংগ্রেস ছত্তীসগঢ়’ (জেসিসি) পাঁচটি এবং তার সহযোগী বিএসপি দু’টি বিধানসভা আসনে জয়ী হয়েছিল।
শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ০০:১০
রাজস্থানে কড়া টক্কর?
২০০ আসনের রাজস্থান বিধানসভায় কংগ্রেস-বিজেপির কড়া টক্করের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে অধিকাংশ বুথফেরত সমীক্ষায়। সেখানে এ বার ভোট হয়েছিল ১৯৯টি আসনে (কংগ্রেস প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে একটি আসনে ভোট স্থগিত রয়েছে)। একাধিক বুথফেরত সমীক্ষার ইঙ্গিত ২০১৮-র মতোই এ বার সেখানে ‘নির্ণায়ক’ হতে পারেন নির্দল এবং ছোট দলগুলির বিধায়কেরা। আশির দশক থেকে ধারাবাহিক ভাবে পাঁচ বছর অন্তর সরকার বদলের প্রথা মেনে চলা রাজস্থানে সত্যিই যদি দ্বিতীয় দফায় মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত কংগ্রেসকে ক্ষমতায় ফেরাতে পারেন, তা হলে লোকসভা ভোটের আগে তা বিজেপির কাছে বড় ধাক্কা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, এর আগে পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার পরে ২০১৩-র বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসকে মাত্র ২১টি আসনে জেতাতে পেরেছিলেন গহলৌত। ইন্ডিয়া টু়ডে-অ্যাক্সিস মাই ইন্ডিয়ার বুথফেরত সমীক্ষা বলছে এ বার কংগ্রেস ৪২, বিজেপি ৪১ এবং নির্দল ও অন্যেরা ১৭ শতাংশ ভোট পেতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতের জোধপুরের চেয়ে সচিন পাইলটের পূর্ব রাজস্থানের টঙ্ক-সওয়াই মাধোপুর এলাকায় কংগ্রেসের ফল অপেক্ষাকৃত ভাল হতে পারে বলে ইঙ্গিত সমীক্ষায়।