Cyclone Michaung: শক্তি বাড়িয়ে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়! রাজ্যে কি এর প্রভাব পড়বে?

দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত হবে অতি গভীর নিম্নচাপ। রবিবার নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউমে’ পরিণত হবে। মায়ানমারের দেওয়া এই নাম। তবে কি তাণ্ডব হবে বাংলাতেও? আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, নিম্নচাপ এই মুহূর্তে রয়েছে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে। ৪৫০ কিলোমিটার চেন্নাই থেকে এবং ৬৭০ কিলোমিটার মাছলি পাটনাম থেকে দূরে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় যা সাইক্লোন ঝড়ে পরিণত হবে। তারপর মধ্য বঙ্গোপসাগরের উপরে আসবে এই সিস্টেমটি।

তামিলনাড়ু এবং অন্ধ উপকূলের কাছে আগামী ৪ তারিখ আসবে। তারপরে এই সিস্টেমটি এভাবেই এগোবে। ৫ ডিসেম্বর সকালে দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে নীল্লর আর মাছলি পাটনামের মাঝে আছড়ে পড়বে। সেই সময় এর গতিবেগ থাকবে ৮০ থেকে ৯০ গাস্টিং ১০০ কিমি। এই সাইক্লোনের সরাসরি প্রভাব আমাদের রাজ্যে নেই। এর ফলে উত্তর ও উত্তর পূর্ব ও পূর্ব দিক থেকে বাতাস আসবে। এই হাওয়া দিয়েই আসবে জলীয়বাষ্প এবং মেঘের পরিমাণ অনেকটাই বাড়বে।

তাপমাত্রা আরও ১ ডিগ্রি বাড়বে, তাপমাত্রা কমার কোনও সম্ভাবনা নেই। এমনকী তাপমাত্রা ৩ থেকে ৫ ডিগ্রি বেশি থাকবে। সিস্টেমটি যখন পুরো শেষ হয়ে যাবে ৯ থেকে ১২ তাপমাত্রা আবার কমতে শুরু করবে। ৮ তারিখ পর্যন্ত তাপমাত্রার কোন পরিবর্তন নেই। ৬ এবং ৭ তারিখ দক্ষিণবঙ্গের উপকূলের জেলা দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম হাওড়া, হুগলি, কলকাতায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা। ৯ তারিখ থেকে আবার আকাশ পরিষ্কার হয়ে যাবে এবং তাপমাত্রাও কমতে শুরু করবে। এই সিস্টেমের জন্য কোন সতর্কবার্তা নেই বাংলায়।

কার্যত শীতের পথে কাঁটা ঘূর্ণিঝড়। আরও বাড়ল রাতের তাপমাত্রা। কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের ৫ ডিগ্রি উপরে। আজ, শনিবার দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত হবে অতি গভীর নিম্নচাপ। রবিবার বঙ্গোপসাগরেই ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে এই নিম্নচাপ। ইতিমধ্যেই আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ঝড় বৃষ্টির সতর্কতার সঙ্গে মৎস্যজীবীদেরও সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.