খেজুরির সভা থেকে সিপিএমকে বার্তা শুভেন্দু অধিকারীর। সিপিএমের অনেক বয়স্ক নেতাই বাড়িতে বসে রয়েছেন। অনেকেই তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন বলে দাবি জানালেন, শুভেন্দু অধিকারী। লোকসভা ভোটের আগে সিপিএমের প্রবীণ নেতাদের মাঠে নামাব। এমনটাই দাবি করেছেন বিরোধী দলনেতা।
খেজুরির সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী আজ বলেন, সেদিন যদি আমি না থাকতাম তাহলে সিপিএম এদের উত্খাত করে দিত। এখন এদের প্রয়োজন আছে। সিপিএমের অনেক বরিষ্ঠ নেতা বাড়িতে বসে আছেন। তাদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। দুটো ব্লকের সেইসব নেতারা আমার সঙ্গে কথা বলেছেন। লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির পক্ষে ওইসব নেতাদের মাঠে নামাব।
শুভেন্দুর ওই মন্তব্য নিয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, পশ্চিমবঙ্গকে বাঁচাতে গেলে বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়তে হবে। এটা তাঁরা ভালোভাবে জানেন। গত ১২ বছর শুভেন্দু ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যাচারের পরও লালঝান্ডা তারা তুলে রেখেছেন। শুভেন্দু বা মমতার সুবিধে দেখার জন্য তারা অপেক্ষা করে নেই। শুভেন্দু বরং দেখুন ওঁর দলের হয়ে জিতল যাঁরা তাঁদের উনি দলে ধরে রাখতে পারলেন না। ওদের কেউ তৃণমূলে চলে যাচ্ছে, কেউ তৃণমূল থেকে বিজেপিতে চলে আসছে। নিজের ঘর উনি ঠিক রাখতে পারছেন না। সেটা আগে উনি দেখুন। বামপন্থীদের দিকে তাকানোর কোনও যোগ্যতা ওদের এখনও হয়নি।
বিরোধী দলনেতার ওই কথায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারও। তিনি বলেন, কোনওদিন এদের দেখেছেন বিজেপির কোনও সমালোচনা করতে? বিজেপির বিরুদ্ধে কোনও রাজনৈতিক প্রোগ্রাম করতে এদের দেখেছেন? সিপিএম সবসময় তৃণমূল বিরোধী। সিপিএম হল বিজেপিপন্থী, তৃণমূল বিরোধী। এটা তো গোটা পশ্চিমবঙ্গের মানুষ জানেন!
এদিকে, কুণাল ঘোষ আজ দাবি করেছেন বিজেপির ২০-২২ জন বিধায়ক তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। তবে এদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। প্রসঙ্গত, কুণাল ঘোষ ওই কথা আগেও বলেছেন। তবে লোকসভা নির্বাচনের আগে তাঁর ওই দাবিতে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তৈরি হয়েছে।