‘কোন ভাষায় বোঝাব’? নিয়োগ দুর্নীতি মামলার আদালতে ভর্ৎসনার মুখে সিবিআই। আলিপুর সিবিআইয়েরই বিশেষ আদালতের বিচারকের মন্তব্য, ‘পারলে আদালতের কাজে সহযোগিতা করুন। Don’t Disturb’!
প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত তাপস মণ্ডল, কৌশিক মাজি এবং পার্থ সেন এখন সিবিআইয়ের হেফাজতে। শুধু তাই নয়, এই মামলায় চার্জশিটও পেশ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী। এদিন মামলায় শুনানিতে ধৃত তিনজনকেই পেশ করা হয় আলিপুরে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে।
শুনানি চলাকালীন ধৃতদের আইনজীবীরা অভিযোগ করেন যে, এই মামলা বিভিন্ন নথি এখনও তাদের দেয়নি সিবিআই। কেন? বিচারকের প্রশ্নে জবাবে সিবিআইয়ের আইনজীবী অবশ্য় জানান, সমস্ত নথি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরেও যখন সেই বক্তব্য নাকচ করে দেন অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবীরার, তখন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ভর্ৎসনা করে বিচারক। বলেন, ‘কোন ভাষায় বোঝাব? আদালত সিদ্ধান্ত নেবে কি দেবে কি দেবে না’।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলা ফের জেল হেফাজতে অভিযুক্ত। জমিন সংক্রান্ত মামলা শুনানি হবে ৫ ডিসেম্বর। সিবিআইক সমস্ত নথি জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিশেষ আদালতের বিচারক।
কী প্রতিক্রিয়া রাজনৈতিক মহলে? তৃণমূল নেতা অরূপ চক্রবর্তীর দাবি, ‘একটার একটা ঘটনায় সিবিআইয়ের প্রতি, কেন্দ্রীয় এজেন্সির প্রতি বিচারপতিদের অনাস্থাই প্রমাণ করে দিচ্ছে, বিজেপিকে তোষামোদ ছাড়া আর কোনও কাজ করতে রাজি নয়। সামনে লোকসভা ভোট আসছে. চাপ আরও বেড়ে যাচ্ছে। যারজন্য আর ছড়িয়ে ফেলছে। কিছু প্রমাণ করতে পারবে না। কারণ, অভিযোগে কোনও সারবত্তা নেই। সারাদেশজুড়ে বিরোধী দলের নেতাদের টার্গেট করেছে। কিন্তু কোনও মামলায় মেরিট নেই বলে সবজায়গাতেই কোর্টের কাছে ঘাড়ধাক্কা খেতে হচ্ছে’।
বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য পাল্টা প্রশ্ন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস যে বলছে পুরোটাই রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, তাহলে অপার সম্পত্তির দৃশ্যমানতা। ওটা কি কোন ম্যাজিক ছিল? হ্য়ালুসিনেশন ছিল? তাহলে এই যে ভোলে বোম রাইস মিল, এটা কি ছিল? এই যে হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি বিভিন্ন জায়গা থেকে উঠে আসছে, যেখানেই ইডি বা সিবিআই যাচ্ছে, সেখানেই প্রভূত কালো টাকা, বেআইনি সম্পত্তি হদিশ পাচ্ছে, এগুলি কী? এগুলি কি অমিত শাহ তৈরি করে দিয়ে গিয়েছেন নাকি দিল্লি থেকে নিয়ন্ত্রণ করে এখানে জমি রেজিস্ট্রি করে দেওয়া হয়েছে’?