দেড় মাস ধরে অনুষ্ঠান, রাম মন্দির উদ্বোধন ঘিরে ‘রামময়’ হবে উত্তরপ্রদেশ, পরিকল্পনা যোগীর

জানুয়ারি মাসে রাম মন্দির উদ্বোধনের সঙ্গে যে লোকসভা নির্বাচনের অঙ্ক জড়িয়ে সেটা কারও অজানা নয়। বিজেপি (BJP) তথা গেরুয়া শিবির চাইছে রাম মন্দিরের আবেগের প্রতিফলন পুরোপুরি ভোটবাক্সের পড়ুক। সেই লক্ষ্যে হিন্দুত্ববাদী একাধিক সংগঠন দেড়মাসব্যাপী একাধিক কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এবার উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথের সরকার পৃথকভাবে রাম মন্দিরের উদ্বোধন উদযাপনের পরিকল্পনা জানিয়ে দিল।

যোগীর পরিকল্পনা, রাম মন্দির (Ram Mandir) উদ্বোধনের এক সপ্তাহ আগে থেকে পরবর্তী দেড় মাস গোটা রাজ্যকে ‘রামময়’ করে তোলার। যোগী প্রশাসন জানিয়েছে, আগামী ১৪ জানুয়ারি থেকেই রাজ্যের সব মন্দির ও মঠে ভজন-কীর্তন শুরু হয়ে যাবে। তার দায়িত্বে থাকবেন রাজ্যের শিল্পীরাই। ২২ জানুয়ারি প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন মন্দিরে-মন্দিরে রামচরিতমানস ও হনুমানচালিশা পাঠ করা হবে। গাওয়া হবে রামভজনও। ওই দিনটি রাজ্যে বিশেষ উৎসবের দিন হিসাবে পালন করা হবে। ওই দিন সরকারি ছুটি দেওয়া যায় কিনা সেটাও ভাবনা চিন্তায় রয়েছে।

এমনিতে মন্দির উদ্বোধন উপলক্ষ্যে দেড় মাস ধরে কর্মসূচি রয়েছে বিজেপির। মন্দির সূত্রে জানা গিয়েছে, উদ্বোধনের পরেও মহোৎসব চলবে! ৪০ দিন ব্যাপী মণ্ডলোৎসবের আয়োজন হয়েছে। কী এই মণ্ডলোৎসব? ৪০ দিন ধরে ভগবানকে রুপোর কলস দিয়ে অভিষেক করতে পারবেন ভক্তেরা। এছাড়াও দেশজুড়ে রাম মন্দির নিয়ে জাতীয় আবেগের বিস্ফোরণ ঘটাতে একাধিক কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি, সঙ্ঘ পরিবার, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মতো গেরুয়া সংগঠনগুলি।

তবে শুধু উত্তরপ্রদেশে নয়, গোটা গোবলয়ে এই রাম মন্দির আবেগ ছড়িয়ে দিতে চায় বিজেপি। রাম মন্দির প্রতিষ্ঠাকে সামনে রেখে বিহার, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানের মতো রাজ্যগুলিতে ভাল ফলের জন্য বহু পরিকল্পনা নিয়েছে গেরুয়া সংগঠনগুলি। হিন্দু ভোটের মেরুকরণের লক্ষ্যে মন্দির নির্মাণের আগে ও পরে মূলত গো-বলয়ের রাজ্যের বাসিন্দাদের কার্যত নিখরচায় রাম মন্দির দর্শনে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবার। তাতে সবরকমভাবে সাহায্য করবে যোগী সরকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.