ধর্মতলায় বুধবার সভা করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিজেপি মনে করছে, এই সভার জেরে মধ্য কলকাতায় ব্যাপক যানজট তৈরি হতে পারে। পুলিশ জানিয়েছে, যখন যেমন প্রয়োজন হবে, সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে ভোগান্তির আশঙ্কায় সাধারণ মানুষ।
বুধবার সকাল ১০টা থেকে ধর্মতলার ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনের মঞ্চে বিজেপির সভা শুরু হওয়ার কথা। ওই সভায় যোগ দিতে শহরের পাশাপাশি জেলা থেকেও আসবেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। বিজেপির পক্ষে জানানো হয়েছে, মিছিল করে সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে জেলা থেকে কর্মীরা আসছেন না। ট্রেনে বা বাসে চেপে আসছেন তাঁরা। যাঁরা ট্রেনে আসবেন, তাঁরা হাওড়া বা শিয়ালদহ স্টেশনে নেমে খাওয়াদাওয়া করবেন। তার পর হেঁটে চলে আসবে সভাস্থলে। বিজেপির জেলা নেতৃত্ব মনে করছেন, সভার কারণে ব্যাপক যানজট হতে পারে মধ্য কলকাতায়। কর্মীদের উদ্দেশে দলীয় নির্দেশ, যেখানে বাস আটকে যাবে, সেখানে নেমে যেন তাঁরা পায়ে হেঁটে সভাস্থলে পৌঁছে যান। একমাত্র হিন্দ সিনেমার কাছ থেকে একটি মিছিল আসার কথা সভায়। এ সব কারণে মধ্য কলকাতার সংযোগকারী বেশ কিছু রাস্তায় হতে পারে যানজট।
শিয়ালদহ স্টেশনে বিজেপির যে কর্মীরা নামবেন, তাঁরা মৌলালি-এসএন ব্যানার্জি রোড হয়ে আসবেন সভামঞ্চে। সে কারণে ওই রাস্তায় তৈরি হতে পারে যানজট। হাওড়া স্টেশনে যাঁরা নামবেন, তাঁরা টি বোর্ড, বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট, গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউ হয়ে মঞ্চে এসে পৌঁছবেন। সে ক্ষেত্রে ওই সব রাস্তায় ধীর গতিতে এগোতে পারে গাড়ি।
ভিড় সামলানোর জন্য ১০০০ পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হবে। এ ছাড়াও ট্র্যাফিক পুলিশ থাকবে। মঞ্চ এবং আশপাশের এলাকাকে ছ’টা জোনে ভাগ করা হয়েছে। প্রতি জোনের দায়িত্বে রয়েছেন উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক। এক জন যুগ্ম কমিশনারের অধীনে ছ’জন ডিসি (ডেপুটি কমিশনার) থাকবেন। থাকবেন একাধিক এসি (অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার)-ও। বিভিন্ন বহুতলের ছাদ থেকে নজরদারি চলবে। এজেসি বোস রোড, রেড রোড, স্ট্র্যান্ড রোড দিয়ে চলাচল করতে পারবে গাড়ি। পুলিশ জানিয়েছে, প্রয়োজনে গাড়ি অন্য পথে ঘোরানো হবে।