চোর ধরতে কলকাতার সভায় যোগদানের আহ্বান জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতা তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর উপস্থিতিতে আজ বাঁকুড়ার কোতুলপুর মহা মিছিলের আয়োজন হয়। ইতিপূর্বে কোতুলপুরে সভা করার জন্য পরপর দুবার আবেদন করেও অনুমতি মেলেনি। অবশেষে আদালতের শরনাপন্ন হন বিজেপি নেতৃত্ব। আজ সেখানে সভা করার যাবতীয় ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন উচ্চ আদালত।
সভার পূর্বে এক পদযাত্রায় অংশ নেন শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপি সাংসদ সহ বিধায়ক ও নেতারা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বাঁকুড়া জেলার বিধায়ক নীলাদ্রি দানা, অমরনাথ শাখা, দিবাকর ঘরামি, সৌমিত্র খাঁ, বিজেপির রাজ্য নেত্রী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল সহ বিজেপির নেতা ও নেত্রীবৃন্দ। মহা মিছিল শেষে পথসভা হয়, সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী প্রথমেই বাঁকুড়ার পুলিশ সুপারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “মাননীয় ভাইপোর পাপোশ বৈভব তিওয়ারি, মিছিল টা হলো তো, মিছিলের শেষে পথ সভাটা তো হল। কলকাতা যাবো তো।”এরপরে উপস্থিত জনতাকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি আরো বলেন, এখানে সারের কালোবাজারি চলছে, আর চাষিদেরও জীবন যুদ্ধের সংগ্রাম চলছে। কেন্দ্রের কাছে সারের যা যা চেয়েছিল এই সরকারকে সবকটা মোদীজি দিয়ে দিয়েছে, মোদীজি সারের ইউরিয়ার ভর্তুকিও দিয়েছে আর আপনারা বারোশো টাকা সার আড়াই হাজার কিনছেন। কারণ মমতা ব্যানার্জির চোরেরা সারের কালোবাজারি করছে বলে তিনি জানান। এরপরে আলুর বস্তা মাঠ থেকে কম দামে তুলে নিয়ে চলে যাবে।
তাই আমরা কৃষকদের সাথে আছি। আজকের কর্মসূচি কেন? এখানে নাকি সব বিজেপি, তৃণমূল কংগ্রেসের চলে গেছে। কে বলছে? ভাইপো বলছে? ভাইপোর পুলিশ বলছে?
কোতুলপুরের বিধায়ক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই মালটাকে চিনে রাখুন। পরে তিনি আরো বলেন, আপনারা চোর ধরতে কলকাতায় যাবেন তো? তৃণমূল মানে কি? উপস্থিত জনতা সমস্বরে চোর চোর বলে চিৎকার করে।