ভরসন্ধেয় উত্তর দিনাজপুরের কর্নজোড়ায় হাড়হিম কাণ্ড। আপত্তিকর ভিডিয়ো তুলে লাগাতার ব্ল্যাকমেইল স্বামীর। অভিযোগ তুলে রায়গঞ্জ সাইবার ক্রাইম থানা চত্বরেই হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা নববধূর। সাত মাস ধরে পুলিসের দোরে দোরে ঘুরেও মেলেনি বিচার। তরুণীর অভিযোগ বছর খানেক আগে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের মাস তিনেক পর থেকে তরুণী জানতে পারে স্বামীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। এরপেরই শুরু হয় নির্যাতন।
করনদিঘি থানায় নালিশেও হয়নি কাজ। উল্টে রায়গঞ্জ সাইবার ক্রাইম থানায় যেতে বলা হয় বলেও দাবি তরুণীর।এরপরেই লাগাতার স্ত্রীর ভিডিও ভাইরাল করে দেন স্বামী। গতকালও থানায় ডেকে দীর্ঘক্ষণ বসিয়ে রাখা হয় বলে অভিযোগ তরুণীর। চলে অপমানও। এরপরেই হাতের সিরা কেটে ফেলেন তরুণী। তড়িঘড়ি থানায় ছুটে আসেন পুলিস কর্তারা। ডাকা হয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকেও।
পুলিসের আশ্বাস মিলেছে, তবে আস্থা রাখতে পারছেন না তরুণী। নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগ, জামাইয়ের থেকে ঘুষ খেয়েই তাঁর মেয়েই অপমান হেনস্থা করছে পুলিস। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে কেন সাত মাস ধরে থানায় থানায় ঘুরেও বিচার পেলেন না নির্যাতিতা। কেন সামাজিক সুরক্ষা দিতে পারল না পুলিস? কেন সুরক্ষা পেতে থানা চত্বরেই হাতের শিরা কাটতে হল ওই তরুণীকে? কীভাবেই বা পুলিস লাইনের কড়া নজরদারি এড়িয়েই হাতের শিরা কেটে ফেললেন তরুণী? প্রশ্ন অনেক, কিন্তু উত্তর অধরাই। ঘটনার পর রায়গঞ্জের অতিরিক্ত পুলিস সুপার তন্ময় সরকার অবশ্য তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থারও প্রতিশ্রুতি মিলেছে।