এনআরএস কাণ্ডের পুনরাবৃত্তি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে! সেখানে অভিযোগ ছিল রোগীর আত্মীয়দের বিরুদ্ধে চিকিৎসক পেটানোর। আর এখানে কাঠগড়ায় খোদ পুলিশ।
অভিযোগ, বুলবুল শেখ নামের এক ইন্টার্ন চিকিৎসককে মেডিক্যাল কলেজের ফাঁড়িতে ঢুকিয়ে বেধড়ক পিটিয়েছে পুলিশ। সহকর্মীকে পুলিশ পিটিয়েছে এই খবর ছড়াতেই কাজ বন্ধ করে দেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। দুপুর তিনটে থেকে শুরু হয়েছে কর্মবিরতি। সন্ধে সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত খবর, বিহিত না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। জটিলতা কাটাতে মেডিক্যাল কলেজের সুপারের ঘরে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক শুরু হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত এদিন দুপুরে। ‘আক্রান্ত’ ইন্টার্ন বুলবুল জানিয়েছেন, তিনি এক রোগীর জন্য আউটডোরের টিকিট কাউন্টারে গিয়েছিলেন। তখনই লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা লোকজন তাঁর দিকে বেলাইন করার অভিযোগ তুলে তেড়ে আসেন। বচসা হচ্ছে দেখে লাগোয়া পুলিশ ফাঁড়ি থেকে ছুটে আসেন পুলিশকর্মীরাও। সংবাদমাধ্যমকে বুলবুল বলেন, “আমি পুলিশকর্মীদের আমার পরিচয় দিই। আইডি কার্ডও দেখাই। তারপরও আমায় ফাঁড়িতে ঢুকিয়ে বেধরক পিটিয়েছে পুলিশ।”
ইন্টার্ন চিকিৎসকদের দাবি, যতক্ষণ না ওই পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হচ্ছে, ততক্ষণ কর্মবিরতি চলবে। জটিলতা কাটাতে হাসপাতাল সুপারের ঘরে মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ, ডিসি সেন্ট্রাল, হাসপাতালের অন্যান্য আধিকারিকরা ইন্টার্ন প্রতিনিধদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন।
ইতিমধ্যেই আন্দোলনকারীরা অনযান্য মেডিক্যাল কলেজের ইন্টার্নদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন বলে খবর। ফলে আগামী কাল এই আন্দোলন আরও বড় আকার নিতে পারে বলে আশঙ্কা।