পক্ষাঘাতে আক্রান্ত স্ত্রীকে ‘মুক্তি দিতে’ খুন, ‘আত্মঘাতী’ অসুস্থ বৃদ্ধও

সাতসকালে আনন্দপুরের (Anandapur) আবাসনে মর্মান্তিক ঘটনা। উদ্ধার বৃদ্ধ দম্পতির দেহ। মৃত্যু হয়েছে ৬০ বছরের গীতা সমাদ্দার এবং ৭৭-এর অমূল্য সমাদ্দারের। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুনের পর আবাসনের ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী (Suicide) হয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে এই ঘটনার খবর পেয়ে আবাসনে পৌঁছয় আনন্দপুর থানার পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত। বৃদ্ধ দম্পতির এভাবে মৃত্যুতে ঘনিয়েছে রহস্য।

নোনাডাঙার বাল্মীকি আম্বেদকর আবাসন। মঙ্গলবার সকালে এখান থেকেই বৃদ্ধ দম্পতির (Old couple) দেহ উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এখানে থাকত সমাদ্দার পরিবার। ৭৭ বছরের অমূল্য সমাদ্দার ও ষাটের গীতাদেবীর দুই মেয়ে বিবাহিত। তাঁরা মাঝেমধ্যে আসতেন বাবা-মায়ের কাছে। পক্ষাঘাতে (Paralysis) আক্রান্ত গীতাদেবী গত ১০ বছর ধরে অসুস্থ, প্রায় শয্যাশায়ী। স্ত্রীর দেখভাল করতেন অমূল্যবাবু। কিন্তু কয়েকদিন আগে তাঁর হৃদযন্ত্রের অসুখ ধরা পড়ে। চিকিৎসকরা আজই তাঁকে পরীক্ষা করতে বলেছিলেন। কিন্তু ডাক্তারি পরীক্ষার বদলে অমূল্যবাবুর মৃতদেহ উদ্ধার হল।

আবাসনের বাসিন্দাদের ধারণা, নিজের হার্টের অসুখ ধরা পড়ায় চিন্তিত হয়ে ওঠেন অমূল্যবাবু। তিনি নিজে অসুস্থ হলে স্ত্রীর দেখাশোনা কে করবে? তা ভেবেই আকুল হয়ে ওঠেন বৃদ্ধ। এর পরই স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র (Murder with sharp weapon) দিয়ে মারার পর তিনি আবাসনের পাঁচতলার ছাদে উঠে ঝাঁপ দেন। তা সকলের নজরে আসায় প্রথমে অমূল্যবাবুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর দেওয়া হয় আনন্দপুর থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অমূল্যবাবুর দেহ উদ্ধার করতে গিয়ে তাঁর ফ্ল্যাটে ঢুকে দেখে, স্ত্রীর দেহ পড়ে রয়েছে ঘরে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে বৃদ্ধ দম্পতির করুণ পরিস্থিতির কথা। ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে দেহ দুটিকে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.