গত বোরো মরশুমের ধান সরকারি ধান ক্রয় কেন্দ্র থেকে কেনার দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা, খাদ্যমন্ত্রী ও জেলা খাদ্য নিয়ামকের কাছে চিঠি পাঠালো কৃষক সংগ্রাম পরিষদ।
জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় সম্প্রতি খাদ্য দফতরের সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান কেনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। চলতি বছরে এই ধানের দাম ধার্য করা হয়েছে ১৮১৫ টাকা প্রতি কুইন্টাল। এছাড়াও পরিবহন খরচ বাবদ আরও বেশি কুড়ি টাকা দেওয়া হবে কৃষকদের।
সব মিলিয়ে মোট ১৮৩৫ টাকা/কুইন্টাল দরে খাদ্য দফতর ধান কিনবে। ধান কেনা হবে ব্লক পিছু একটি কিষানমান্ডি বা স্থায়ী ধান ক্রয় কেন্দ্র(সি.পি.সি.) থেকে। কিন্তু কেন্দ্রগুলির আধিকারিকরা গত বোরো মরশুমের ধান না নেওয়ার কথা কৃষকদের জানানোয় সমস্যায় পড়েছেন এই জেলার এক বিরাট অংশের কৃষকরা।
ইতিমধ্যে এই সুযোগে সেই ধান কিনছে ফড়েররা। জেলার বন্যা প্রবণ এলাকার কৃষকরা বোরো মরসুমের ধান ওঠার পর ধান বিক্রি করতে পারে না। কারণ যদি বর্ষায় বন্যা কবলিত হয় এলাকা, তবে আমন ধান চাষ করা যাবে না। সেইজন্য বর্ষাকাল চলে যাওয়ার পর ওই ধান বিক্রির উদ্যোগ নেয় কৃষকরা।
কৃষক সংগ্রাম পরিষদের সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক বলেন, কৃষকদের ঘরে জমে থাকা সমস্ত ধান সরকারি ধান ক্রয়কেন্দ্র বা কিষান মান্ডিতে কেনার ব্যবস্থা করতে হবে। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার, খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, জেলা খাদ্য নিয়ামক সৈকত চক্রবর্তীকে পরিষদের পক্ষ থেকে আজ ইমেলে আবেদন পত্র পাঠানো হয়েছে। অবিলম্বে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া নাহলে কৃষকদের নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনে নামা হবে বলে জানান কৃষক সংগ্রাম পরিষদ।