কংগ্রেসি জমানাতে তিনবার পেশ করা হয়েছিল গুজরাট কন্ট্রোল অফ টেরোরিসম অ্যান্ড অর্গানাইজড ক্রাইম( GUJRAT CONTROL OF TERRORISM AND ORGANISED CRIME OR GCTOC)বিল। কিন্তু তিনবারই খারিজ করা হয়েছিল। অবশেষে চতুর্থবার রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোমিন্দের হাত ধরে ছাড়পত্র পেল এই বিল।
সন্ত্রাসবাদ ও অপরাধ দমনের ক্ষেত্রে যে কোন রাজ্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারে। তবে এই বিল কেন এতবার বাতিল হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে।
এই বিলে লেখা রয়েছে গুজরাট প্রশাসন প্রয়োজনে যে কোন মানুষের ফোনে আড়ি পাততে পারবে এবং সেই কথাবার্তা প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে। গুজরাটের স্বরাষ্ট্র দফতরের মন্ত্রী প্রদীপসিন জাদেজা জানিয়েছেন এর ফলে নিরাপত্তা বিষয়ক ব্যাপারে আরও শক্ত পদক্ষেপ নেওয়া যাবে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, এর ফলে যে কোন ব্যাক্তির কথোপকথন এক বৈধ প্রমান হিসেবে আদালতে পেশ করতে পারবে। এছাড়াও অপরাধ দমনের ক্ষেত্রে বিশেষ আদালত ও বিশেষ আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবে। এতদিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্ন সফল হল৷
গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন অবস্থাতে ২০০৪ সালে নরেন্দ্র মোদী এই বিল পেশ করেন। কিন্তু পরেই এই বিল খারিজ করে দেওয়া হয়। এই বিল তারপরে আবারো কয়েকবার পেশ করা হয়েছিল। তাতে লেখা ছিল সরকার চাইলে যে কারো ফোন ট্যাপ করতে পারবে এবং আদালতে সেই কথাবার্তা প্রমাণ হিসেবে পেশ করতে পারবে। আর এই কারণে ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি এই বিলকে। তবে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ সহ বিভিন্ন চোরাচালান নিয়ন্ত্রণে এই বিল ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে বলে মনে করছে বিজেপি মহল। তবে এতে সাধারণ মানুষের গোপনীয়তা রক্ষা করা কীভাবে সম্ভব হবে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। কেননা সরকার যদি যে কোন মানুষের ফোনে আড়ি পাতার অধিকার পায় তাহলে কীভাবে মানুষজন নিশ্চিন্তে কথাবার্তা বলতে পারবে তা নিয়ে দেখা দিচ্ছে দ্বন্দ্ব।