রাস্তায় গাড়ি আটকে চাঁদা তোলা হচ্ছিল। খবর পয়েই ছুটে যান অতিরিক্ত পুলিস সুপার। সেখানে যেতেই দুষ্কৃতীদের হামলার শিকার ওই পুলিস আধকারিক। ভাঙচুর চালানো হয় পুলিসের গাড়িও। জলপাইগুড়ির ধুপগুড়ির আংরাভাষা এলাকার ঘটনা। আহত ওই অতিরিক্ত পুলিস সুপারের নাম ওয়াংদেন ভুটিয়া।
পুলিস সূত্রে খবর, আংরাভাষা এলাকায় রাস্তা আটকে চাঁদা তোলা হচ্ছিল। খবর পেয়ে সেখানে চলে যান ওয়াংদেন ভুটিয়া। অভিযোগ, ওয়াংদেনের দেহরক্ষী ঘটনাস্থলে নামতেই তার উপরে চড়াও হয় জনতা। অতিরিক্ত পুলিস সুপার দেহরক্ষীকে বাঁচাতে গেলে তাঁকেলক্ষ্য করে ঢিল ছোড়া হয়। একটি পাথর এসে লাগে ওয়াংদেন ভুটিয়ার মাথার পেছনে। মাথা ফেটে যায়। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ধুপগুড়ি গ্রামীন হাসপাতালে। কারা ওই চাঁদাতুলছিল তা নিয়ে খোঁজখবর শুরু করেছে পুলিস।
অন্যদিকে, একই ছবি দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলাতেও। ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে এক ফুচকা ব্যবসায়ী থেকে জোর করে চাঁদা চাওয়ার অভিযোগ উঠল। দাবি মতো চাঁদা দিতে না পারায় বেধড়ক মারধর করা হয় ওই ফুচকা ব্যবসায়ী ও তার ছেলেকে।
মহেশতলা পৌরসভা ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের ময়নাগড়ের কাছে রাস্তার ধারেই ফুচকা বিক্রি করেন রাজ কুমার সাউ। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে ওই জায়গাতেই ফুচকা বিক্রি করেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, স্থানীয় একটি ক্লাবের কালীপুজোর জন্য তার কাছ থেকে দেড় হাজার টাকা চাঁদা চাওয়া হয়। তিনি ৫০০ টাকা দিলে বলা হয় যেটা বিলে লেখা আছে সেটাই দিতে হবে। চাঁদা না দিলে ওই জায়গায় বসতে দেওয়া হবে না । এরপরই ওই ব্যবসায়ী রাজকুমার সাউ এবং তার ছেলে বীরেন্দ্র কুমার সাউ কে বেধড়ক মারধর করে তারা এবং ফুচকার গাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়। ঘটনা ঘটার পর যথেষ্ট আতঙ্কিত ওই ফুচকা ব্যবসায়ী এবং তার ছেলে। এর আগেও দুর্গা পুজোর সময় বলপূর্বক চাঁদা চাওয়ার ঘটনা নিয়েই খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিল ২৩ নম্বর ওয়ার্ড। ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে মহেশতলা থানা এবং তদন্ত শুরু করেছে থানার পুলিস।