নয়াদিল্লি:৭২০০ কোটি টাকার ব্যাংক জালিয়াতি তদন্তে নেমে মঙ্গলবার দেশজুড়ে ১৮৭টি স্থানে তল্লাসি চালাল সিবিআই ৷ এইজন্য মোট ৪২টি মামসা করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা৷ জালিয়াতি হয়েছে ১৫টি ব্যাংকে যাদের মধ্যে রয়েছে-স্টেট ব্যাংক, পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক (পিএনবি), দেনা ব্যাংক, কানাড়া ব্যাংক, ব্যাংক অফ বরোদা, ব্যাংক অব মহারাষ্ট্র, এলাহাবাদ ব্যাংক, সেন্ট্রাল ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, আইডিবিআই ব্যাংক-সহ প্রায় সকলেই।
প্রসঙ্গত, একের পর এক ব্যাংক প্রতারণার ঘটনা জানাজানি হওয়ায় ইতিমধ্যেই দেশে ব্যাংকের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যার অন্যতম নীরব মোদীর পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকে প্রায় ১৪,০০০ কোটির জালিয়াতি। এ বার দায়ের হয়েছে ৭,২০০ কোটি টাকা প্রতারণা এবং ৪২টি মামলা। সিবিআইয়ের জানিয়েছে, অন্তত চারটি ক্ষেত্রে এই প্রতারণার অংক হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে এবং ১১টির কেস রয়েছে ১০০বেশি তবে১,০০০ কোটির কম।
পিএনবিতে জালিয়াতির ফলে ব্যাংক ব্যবস্থার বহু ত্রুটি সামনে এসেছিল। ঋণ দেওয়ার ঝুঁকি নিয়ে জটিলতা বাড়ে । তার পর থেকে যত জালিয়াতি ধরা পড়েছে, তত উদ্বেগ বেড়েছে ব্যাংকিং ক্ষেত্রে৷ ব্যাংকের বেহাল দশায় জন্য অনুৎপাদক সম্পদ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ে ৷ ফলে বিভিন্ন ব্যাংকই ঋণ দেওয়ার ঝুঁকির দিকগুলি সুরক্ষিত করতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করে। সংশ্লিষ্ট মহলের অভিমত, এ ভাবে সিবিআইয়ের দেশজুড়ে তল্লাশিতে ঋণ দেওয়ার ব্যাপারে আরও উদ্বেগ বাড়বে। অন্যদিকে মানুষও বিচলিত হবে ব্যাংকে গচ্ছিত তাঁদের পুঁজির নিরাপত্তা নিয়ে।
সিবিআইয়ের বক্তব্য, জাল নথিপত্র দেখিয়ে স্টেট ব্যাংক থেকেই মুম্বইয়ের অ্যাডভান্টেজ ওভারসিজ নামক সংস্থার কর্তারা প্রায় ৬,০০০ কোটি টাকা ঋণ নেন। গোটা ঘটনায় যুক্ত ব্যাংকের আধিকারিকরাও বলে অভিযোগ। টাকা অন্যত্র সরানো হয়। এরফলে স্টেট ব্যাংকের প্রায় ১,২৬৬ কোটি লোকসান হয়।
মঙ্গলবারের এই সিবিআই তল্লাসিতে দেশের ১৬টি রাজ্যে প্রায় ১,০০০ অফিসার মিলে অভিযান চালান। দিল্লির ১২টি স্থানে তল্লাসি চলে। তল্লাশি হয়েছে মহারাষ্ট্র, পঞ্জাবের ৯০টি স্থানে। এরাজ্যেও দু’টি জায়গায় তল্লাশি হয়েছে।