নয়া দিল্লীঃ RCEP চুক্তিতে ভারতের অসহমতির পর মাথা নোয়াতে বাধ্য হল চীন। মঙ্গলবার সূর নরম করে চীন জানায়, ভারতের সাথে শলা পরামর্শ করা হবে। চীন লাগাতার আঞ্চলিক সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব এর সমর্থন করে আসছে। আর তাঁরা চাইছে যে, এশিয়ার ১০ টি দেশ সমেত ১৬টি রাষ্ট্র এই সমঝোতায় সহমত হয়। আরেকদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ব্যাঙ্ককে হওয়া শিখর সন্মেলনে ভারতের স্বার্থকে নজরআন্দাজ করার জন্য RCEP তে ভারত থাকবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে।
চীনের সস্তা উৎপাদের জন্য ঘরোয়া শিল্পে প্রভাব পড়ার জন্য ভারতের চিন্তা নিয়ে চীনের বিদেশ মন্ত্রালয়কে প্রশ্ন করার পর বিদেশ মন্ত্রালয়ের মুখপাত্র জানান, আমরা ভারতের সমস্ত রকম চিন্তা নিয়ে কথা বলার জন্য প্রস্তুত। দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা আর সুবিধার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধানের প্রচেষ্টা করা হবে। আমরা খুব শীঘ্রই ভারতকে এই প্রোজেক্টে যুক্ত করতে চাই। মুখপাত্র জানান, ভারত আর চীন উন্নয়নশীল দেশ গুলোর মধ্যে একটি, আর আমাদের কাছে ২.৭ বিলিয়নের বিশাল বাজার আছে।
গত পাঁচ বছরে ভারত থেকে চীনে আমদানি ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা একসাথে কাজ করলে দুই দেশেরই লাভ হবে। উনি বলেন, ভারতের চিন্তা নিয়ে ১৫টি দেশই বিচার করবে, আর সবার সহমতি নিয়েই এর সমাধান বের করা হবে। আরেকদিকে, সাংহাইয়ে চীনের রাষ্ট্রপতি জিংপিং একটি অনুষ্ঠানে বলেন, ব্যাঙ্ককে শিখর সন্মেলনে ১৫ টি দেশ সহমত হওয়াতে আমি খুশি। আমি আশা করছি যে, ভারত সমেত ১৬ টি দেশ এই চুক্তিতে সহমত হবে খুব শীঘ্রই।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সোমবার বলেছিলেন, বর্তমান চুক্তিতে RCEP এর মূল সিদ্ধান্তকে নজরআন্দাজ করা হচ্ছে, আর এর ফলে ভারতের প্রধান সমস্যা গুলোর সমাধান হচ্ছেনা। আর এরজন্য আমরা এই চুক্তিতে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ভারত লাগাতার পারস্পরিক বাজার এবং ঘরোয়া বাজারে সংরক্ষিত উৎপাদ সূচি নির্ধারণ করার প্রয়োজনীয়তায় জোর দেয়।