কলকাতা থেকে ওড়িশাগামী বাসে আগুন লাগার ঘটনায় প্রাণ গেল এক যাত্রীর, উদ্ধার ৩৬ জন

 কলকাতা থেকে ওড়িশাগামী বাসে আগুন লেগে যাওয়ার ঘটনায় মৃত্যু হল এক যাত্রীর। দেহ উদ্ধার করে ইতিমধ্যে তা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে বাসে থাকা বাকি ৩৬ জন যাত্রীকে। পাশাপাশি, চলন্ত বাসে আগুন লাগার কারণ জানতে ফরেন্সিক দলের সাহায্য নিচ্ছে পুলিশ।

খড়্গপুরে জাতীয় সড়কের উপর শুক্রবার রাত ৯টা নাগাদ ওড়িশাগামী একটি যাত্রিবাহী বাসে আচমকা আগুন ধরে যায়। বাস থেকে লাফ দিয়ে পালিয়ে যান চালক এবং কন্ট্রাক্টর। প্রাণ বাঁচাতে যাত্রীদের কেউ কেউ দরজা দিয়ে লাফ দেন। কেউ কেউ আবার কাঁচের জানলা ভেঙ্গে ঝাঁপ দেন রাস্তায়। আগুন নেভানোর চেষ্টার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীদের উদ্ধারের কাজ শুরু হয়। তবে অল্পবিস্তর আঘাত পাওয়া ছাড়া প্রাণহানির কোনও খবর পাওয়া যায়নি।

শনিবার জানা গেল, এক যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত তার পরিচয় জানা যায়নি। এ নিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার বলেন, “বাসে থাকা ৩৬ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়। থানায় নিয়ে গিয়ে তাদের কাছ থেকে খোঁজখবর নেওয়া হয়। পাশাপাশি এক জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর বোঝা যাবে মৃত্যুর কারণ।”

পুলিশ সুপারের সংযোজন, “প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, শর্ট সার্কিট থেকেই বাসে আগুন লেগেছে। ফরেন্সিক দলের রিপোর্ট এলে বিষয়টি স্পষ্ট বোঝা যাবে।”

অন্যদিকে, এ নিয়ে জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি বলেন, “বাস দুর্ঘটনায় ৩৬ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু এক জনের মৃত্যু হয়েছে। দমকল, পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকরা উদ্ধার কাজ চালিয়ে গিয়েছেন। উদ্ধার হওয়া যাত্রীদের ওড়িশা পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।”

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে শুক্রবার রাতেই খড়্গপুর লোকাল থানায় যান মন্ত্রী মানস ভুঁইঞা। তিনি বলেন, “স্থানীয় প্রশাসন থেকে পুলিশ সুপার উদ্ধার কাজ করেছেন। এক জনের মৃত্যু হয়েছে। আগুন কী ভাবে লাগল তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সবার পাশে রয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.