রাম মন্দির ইস্যু এমন একটা বিষয় যার জন্য পরোক্ষভাবে দেশে বহুবার অনেক দাঙ্গাজনক পরিস্থিতি উৎপন্ন হয়। তবে এবার এই সমস্যার সমাধান বেরিয়ে আসার সময় চলে এসেছে। হিন্দুদের বহু লড়াই ও বলিদানের পর এবার খুব শীঘ্রই আদালত এর উপর রায় শোনাতে চলেছে। যার জন্য উত্তরপ্রদেশ সরকার থেকে শুরু করে কেন্দ্র সরকার পস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। দেশে যাতে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি না উৎপন্ন হয় তার জন্য প্রশাসন ও সুরক্ষা ব্যাবস্থা মজবুত করতে নেমেছে সরকার। সুপ্রিম কোর্ট অযোধ্যা মামলার শুনানি শেষ করেছে। আদালতের রায় পরবর্তী কিছুদিনের মধ্যে যে কোনও সময় আসতে পারে। ১৭ ই নভেম্বর, প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গোগোই সিদ্ধান্ত আসার পর অবসর নিচ্ছেন।
একই সময়ে, এই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর প্রায় চার হাজার কর্মী উত্তর প্রদেশে প্রেরণ করা হয়েছে। এই পুলিশ বাহিনী 18 নভেম্বর পর্যন্ত রাজ্যে অবস্থান করবে। আমাদের জানান যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সোমবার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মন্ত্রণালয় তাত্ক্ষণিক কার্যকরভাবে প্যারামিলিটারি ফোর্সের পনেরোটি সংস্থা প্রেরণের অনুমোদন দিয়েছে। মন্ত্রকের আদেশ অনুযায়ী প্যারা মিলিটারি ফোর্সের ১৫ টি সংস্থার পাশাপাশি বিএসএফ, আরএএফ, সিআইএসএফ, আইটিবিপি এবং এসএসবির তিনটি সংস্থাও প্রেরণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
জানিয়ে দি, আগে থেকেই উত্তরপ্রদেশ সরকার সুরক্ষা নিয়ে সক্রিয় রয়েছে। জেলায় ধারা ১৪৪ লাগু থেকে শুরু করে, জনতাকে শান্তি বজায় রাখার অনুরোধ করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ নিজে মন্ত্রীদের নির্দেশ দিয়েছেন রাম মন্দির ইস্যুতে নিশ্চুপ থাকার জন্য। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে বিভিন্ন জেলার মন্দির ও মসজিদ থেকে ধর্মীয় সংগঠন এবং কমিটিও শান্তির আবেদন করছে। কিছু বৈদেশিক শক্তি ভারতকে অস্থির করার জন্য ও কট্টরপন্থীদের উস্কানি দেওয়ার উপর কাজ করছে। তবে সরকার তার বিরুদ্ধেও দমননীতি প্রয়োগ করেছে।