মর্নিং ওয়াকে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু সেই মর্নিং ওয়াক থেকেই আর ফিরে আসেননি। মর্নিং ওয়াকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান। শেষে ১৪ দিন পর দিঘার ঝাউ বনে মিলল নিখোঁজ মহিলার দেহ। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সৈকত শহর দিঘায়।
দিঘা স্টেশন লাগোয়া গভীর ঝাউ জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয়েছে দেহটি। দিঘা থানার অন্তর্গত স্টেশন লাগোয়া গভীর কেয়া জঙ্গলের মধ্যে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায় দেহটি। তবে খুন না আত্মহত্যা তা নিয়ে সন্দেহের দানা বেঁধেছে। মৃতার নাম পারুল জানা। বয়স ৬০ বছর। জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দিঘা থানার ভগীব্রহ্মপুর গ্রামের বাসিন্দা পারুল জানা। গত ২৩ নভেম্বর সকালবেলা প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। তারপর থেকে ওই মহিলাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরিবারের লোকেরা পরের দিন দিঘা থানায় মিসিং ডায়েরি করেন।
এরপর এদিন সকালে স্থানীয় গ্রামের মহিলারা গভীর জঙ্গলে জ্বালানি কুড়াতে যায়। তখন তাঁরা বনের মধ্যে ঝুলন্ত অবস্থায় একটি মৃতদেহ দেখতে পান। মৃতদেহের শরীরে কোনও পচন ধরেনি। চামড়া শুকিয়ে গিয়েছে। স্থানীয়দের ধারণা, ওই মহিলাকে খুন করা হয়েছে। খুন করে এখানে এনে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিস মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কাঁথির মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। খুন না আত্মহত্যা, তা নিয়ে কিন্তু রহস্য দানা বেঁধেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ।