টানা দু’দশক ধরে পুষে রাখাছিল ক্ষোভ! সেই ক্ষোভের প্রকাশ হল রক্তারক্তিকাণ্ডে। এতবছর পর এরকম কাণ্ডকারখানার কথা শুনে তাজ্জব এলাকার মানুষজন। মাজদিয়ার এক লজে এক মাঝবয়সী মহিলাকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপাল তার পুরনো প্রেমিক। হ্যাঁ, শুনতে আশ্চর্য লাগলেও এমনটাই হয়েছে নদিয়ার মাজদিয়ার এক লজে।
পুলিস সূত্রে খবর, আহত ওই মহিলার সঙ্গে অভিযুক্ত পুরুষের সম্পর্ক ছিল ২০ বছর আগে। কল্পনা সরকার নামে ওই মহিলার বাড়ি ধুপগুড়ি। নদিয়ার কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা রঞ্জিত সরকারের সঙ্গে তাঁর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ২০ বছর আগে। কিন্তু সেই সম্পর্কে বিয়ে পর্যন্ত গড়ায়নি। কল্পনার বিয়ে হয়ে যায় অন্য জায়গায়। রঞ্জিতও বিয়ে করে ফেলেন। এরপর পেরিয়ে গিয়েছে ২০ বছর।
সম্প্রতি তাদের মধ্যে যোগাযোগ হয়ে যায়। গতকাল তারা মাজদিয়া শিব মন্দিরের বেড়াতে যায়। মন্দিরের পাশেই একটি লজ ভাড়া করে থাকে গত পরশু। গতকাল সকালে রঞ্জিত মদ্যপান করে এসে কল্পনাকে বেধড়ক মারধর করে। ঘাড়ে ও মুখে ধারাল ছুরি দিয়ে কোপ দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় সে লজে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে থাকে। ঘাড় ও গালে গভীর ক্ষত। গালে বেশ কয়েকটি সেলাই পড়েছে। লজের লোকজন মহিলাকে উদ্ধার করে কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। জ্ঞান ফেরার পর সে গোটা ঘটনা খুলে বলে।
আহত কল্পনা জানিয়েছে তার বাড়ি শিলিগুড়ি। তার স্বামী, মেয়ে, জামাই রয়েছে। তারাও খবর পেয়ে ছুটে এসেছে। কুড়ি বছর পুরনো রাগ এতদিন পরে এভাবে রঞ্জিত প্রকাশ করবে তা ভাবতেই পারেনি কল্পনা। ঘটনার পর থেকে উধাও রঞ্জিত। সংবাদমাধ্যমে কল্পনা বলেন, ওর বাড়ি মলুয়াপাড়ায়। ওৎ মামার বাডি় আমাদের ওখানে। সেখান থেকেই ফের দেখা। আমাকে এখানে ঘুরতে নিয়ে আসে। এখানে এসে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মেরেছে। চাকু চালিয়েছে। আমার গাল কেটে গিয়েছে।