সিজিও থেকে কমান্ড হাসপাতালে যাওয়ার উদ্দেশে বেরিয়ে গাড়িতে ওঠার সময় যেমন একবার নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। ঠিক তেমনই কমান্ড হাসপাতাল থেকে ফিরে সিজিওতে ঢোকার সময়ও ফের বিজেপির চক্রান্তের অভিযোগে সরব হলেন মন্ত্রী। শুধু তাই নয়, নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের ডেটলাইন নিজেই বেঁধে দিলেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী! সিজিওতে ঢোকার সময় মন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি নির্দোষ। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সৈনিক। এটা ইডি-বিজেপির চক্রান্ত। আমি প্রমাণ করে দেব ৬ তারিখ।’
উল্লেখ্য, এর আগে জ্যোতিপ্রিয় বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় সব জানেন। জানেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ও। বিজেপি তাঁকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসিয়েছে। দল সঙ্গে আছে। তিনিও দলের সঙ্গেই ছিলেন, আছেন ও থাকবেনও। কমান্ড হাসপাতালে যাওয়ার পথে দাবি করেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। হেভিওয়েট মন্ত্রীর স্বাস্থ্য নিয়ে সতর্ক ইডি। একদিন অন্তর তাই আজ ফের মেডিক্যাল করানো হয় মন্ত্রীর। সিজিও থেকে বেরিয়ে কমান্ড হাসপাতালে যাওয়ার জন্য গাড়িতে ওঠার পথেই সাংবাদিকদের প্রশ্নে মুখ খোলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী দাবি করেন, “মমতাদি-অভিষেক সব জানেন। আমি নির্দোষ। বিজেপি আমাকে ফাঁসিয়েছে। দল আমার সঙ্গে আছে। আমি দলে ছিলাম, আছি, থাকব। খুব তাড়াতাড়ি আমি ছাড়া পাব। আপনারা জেনে রেখে দিন, অলরেডি এরমধ্যে আমি মুক্ত হয়ে গিয়েছি।”
রেশন দুর্নীতিতে ধৃত প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। দুর্নীতিতে মিলেছে বাকিবুর রহমানের সঙ্গে মন্ত্রীর যোগও! কিন্তু জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্পষ্ট দাবি,”আমাকে ফাঁসানো হয়েছে বিজেপিকে দিয়ে। মমতাদি ব্যাপারটা পুরোটাই জানে। দলের সঙ্গে ছিলাম, আছি, থাকব। বিজেপি আমাকে ফাঁসিয়েছে। আমি মুক্ত। অলরেডি জেনে নিন, আমি এর মধ্যে মুক্ত হয়ে গিয়েছি। আর ৪ দিনের মধ্যে মুক্ত হয়ে যাব। বিজেপি ফাঁসিয়েছে। মমতা দিয়ে সব জানেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে আমি আছি। অবশ্যই দল আছে আমার সঙ্গে। আমি দলের সঙ্গে আছি।”
এখন বিজেপির তাঁকে ফাঁসানো নিয়ে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “আসলে ফাঁসানো বক্তব্যটা অন্য কোনও দিকে নির্দেশ করা আছে। এটা প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি। এই দুর্নীতিতে প্রান্তিক মানুষের চাল, গম, চিনি লুঠ হয়ে গিয়েছে। কৃষককে কম দামে ফসল বিক্রি করতে বাধ্য করা হয়েছে। কোনও জায়গায় কেউ ন্যূনতম সাহায্যমূল্য পায়নি। ন্যূনতম সংগ্রহ মূল্য থেকে কৃষকদের বঞ্চিত করে চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। ডিস্ট্রিবিউটর মিল মালিকদের সঙ্গে যোগসাজশ করে বছরের পর বছর ভুয়ো রেশন কার্ডের মধ্যে দিয়ে একটা লুঠ সংঘটিত হয়েছে। এই লুঠ তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকেই শুরু। বায়োমেট্রিকসে দেখা গিয়েছে, ১ কোটির বেশি ভুয়ো রেশন কার্ড।”